Site icon The News Nest

‘মোদী কি সেনা’ বলে বিপাকে যোগী, কমিশনে অভিযোগ প্রাক্তন নৌ-প্রধানের

l ramdas

নয়াদিল্লি: ভারতীয় সেনাকে ‘মোদী কি সেনা’ বলে দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মঙ্গলবার তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল এল রামদাস। তিনি বলেন,’ ভারতীয় সেনা কোন ব্যক্তির নয়। অথচ তা দাবি করা হচ্ছে।’ এর আগেও সেনা পোশাকে বিজেপি নেতাদের ভোট প্রচার নিয়ে সরবা হয়েছিলেন অ্যাডমিরাল রামদাস।

শুধু অ্যাডমিরাল রামদাস নন, তাঁর মতন আরও অনেক প্রাক্তন সেনা এই মন্তব্যে হতাশ। গোটা বিষয়টির সমালোচনা করে রামদাস বলেন, ‘ভারতীয় সেনা কোন ব্যক্তির নিজস্ব জিনিস নয়। তারা দেশের জন্য কাজ করে। সে কারণেই আমি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানাতে যাচ্ছি।’ বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানের পর থেকেই বোঝা গিয়েছিল, লোকসভা ভোটে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি। তার প্রমাণও মিলেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রীই বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারে জাতীয়তাবাদের পালে হাওয়া দিচ্ছেন।শহীদদের ছবি পিছনে রেখে ভাষণ দিয়েছেন বারবার। প্রচারে তুলে এনেছেন সেনাদের কথা।তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এই লোকসভা নির্বাচন বিজেপি সেনাকে সামনে রেখে লড়বে যা এখনও পর্যন্ত নজিরবিহীন। জাতীয নিরাপত্তাকে রাজনৈতিক ময়দানে নামায়নি কোন দলই। মোদী জমানায় ধর্মীয় বিভাজন ও মেরুকরণ তো ছিলই এবার তার সঙ্গে ভোট প্রচারে যুক্ত হলো ভারতীয় সেনার অন্তর্ভুক্তি। এমন করে প্রচার হচ্ছে যে অতি সাধারণ মানুষ মনে করতেই পারে ভারতীয় সেনা এবং নরেন্দ্র মোদীর দল সমর্থক। এটি নিঃসন্দেহে ভারতীয় সেনার জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। তারা নিজেরা কখনোই রাজনীতির হাতিয়ার হতে চায়নি। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচ এস পানাগও যোগীর এই মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,’ গত ৫ বছর ধরে এই ধরনের রাজনৈতিক নেতারা যে সব মন্তব্য করছে তাতে আমি বিস্মিত। ভারতীয় সেনার সঙ্গে জাতীয়তাবাদকে সংযুক্ত করার চেষ্টা চলছে। এমন মন্তব্য দেশের সেনার মধ্যে রাজনৈতিক মনোভাব তৈরি করবে যা ছিল না এতদিন। সেনা বরাবরই অরাজনৈতিক থেকেছে।’

উল্লেখ্য, রবিবার গাজিয়াবাদে এক জনসভায় যোগী বলেন, ‘কংগ্রেস কি লোগ’ সন্ত্রাসবাদীদের বিরিয়ানি খাওয়ায়। মাসুদ আজহারের মতো জঙ্গিদের সম্মান দেখিয়ে ‘জি’ বলে সম্বোধন করে। কিন্তু মোদীজির সেনা তাদের কেবল গুলি আর গোলা খাওয়ায়।স্বাভাবিক ভাবেই যোগীর বক্তব্যকে ভাল ভাবে নেয়নি বিরোধীরা। শুরু হয় প্রবল সমালোচনা। নির্বাচন কমিশনও যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। গাজিয়াবাদ প্রশাসনের কাছ থেকে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

 

Exit mobile version