#ডোমকল: গত শনিবারই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের সংঘর্ষ। এ বার মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়ে গেলেন তিন তৃণমূল কর্মী।
শনিবার কাকভোরে বোমা-গুলির লড়াইয়ে ঘুম ভাঙে ডোমকলের কুচিয়ামোড়া গ্রামের। বোমাবাজির মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয়েছে খইরুদ্দিন শেখ ও সোহেল রানা নামের দু’জনের। তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আলতাফ শেখের ছেলে খইরুদ্দিন এবং ভাই সোহেল। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রহিদুল শেখ নামক এই প্রতিবেশীরও।
শনিবার ভোররাতে বেশ কয়েক জন খইরুদ্দিনদের বাড়িতে আসে। অভিযোগ এর পরেই ব্যাপক বোমাবাজি করতে থাকে দুষ্কৃতীরা৷ খুব কাছ থেকে গুলি চালায় আততায়ীরা৷ গুলি লেগে নিহত হন সোহেল, খইরুদ্দিন এবং রহিদুল৷ রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতেই লুটিয়ে পড়েন তাঁরা৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যান তিন জনেই৷
লোকসভা নির্বাচনের সময়েই খুন হয়ে গিয়েছিলেন আলতাফ শেখও। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, আলতাফের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর খুনিরা ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিল। সম্প্রতি তারা জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। সংগঠিত ভাবে হামলা চালিয়েছে তারাই। এ নিয়ে আগেই পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন বলেন, ‘‘এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর জন্য সিপিএম থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারীরাই তৃণমূল কর্মীদের খুন করেছে৷’’