রাফাল নথি নিয়ে ফের মোদীকে তোপ মমতার, অভিযোগ এনডিএ’র আমলে বেড়েছে সন্ত্রাস

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: পুলওয়ামা হামলা নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রশ্ন তুললেন, ‘কেন পাঠানকোট, উরিতে হামলা হল? কেন পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হল? আগে জানা সত্ত্বেয় কেন ব্যবস্থা নেননি?’ শুক্রবার নারীদিবসকে সামনে রেখে কার্যত আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল থেকে স্লোগান উঠল ‘মোদী হঠাও, দেশ বাঁচাও।’

শুক্রবার পদযাত্রা শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে একযোগে আক্রমণ করে মমতা বলেন,‘মোদী সরকার চোরের সরকার, মোদী-শাহর দোকান দিয়ে দেশ চালানো যায় না।’ আন্তর্জাতিক নারীদিবস উপলক্ষ্যে এদিন শ্রদ্ধানন্দ পার্ক থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গেই ছিলেন তাঁর দলের নেত্রীরা। ছিলেন কাকলি ঘোষদস্তিদার, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মালা রায়, স্মিতা বক্সী, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। মহিলা দিবসকে কেন্দ্র করে মিছিল হলেও, মিছিলের সুর বাঁধা ছিল চড়া মোদী বিরোধিতায়। মিছিল থেকে  ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পদযাত্রা শেষে মিনিট দশেক বক্তৃতা দেন মমতা। জানিয়ে দিলেন, “মোদী সরকারের এক্সপায়ারি ডেট শেষ। নতুন সরকার এসে কাশ্মীরে শান্তি ফেরাবে। খতম করবে উগ্রপন্থা। এটা আমাদের অঙ্গীকার।

এদিন ফের রাফালের নথি চুরি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন তৃণমূলনেত্রী। তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন বলেন, ‘‘রাফাল নথি চুরি হয়ে যায়। আগলে রাখতে পারেন না। দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করবেন কীভাবে? দেশের আভ্যন্তরীন নথি চুরি হয়নি তো? আপনি তো দেশকে চুরি করেছেন। যেদিন ক্ষমতা থাকবে না, সেদিন দেখবেন দেশের সব টাকা নিয়ে কোথায় পালিয়ে গিয়েছে। চোরেদের সরকার, ডাকাতদের সরকার।’’ এ মন্তব্যের পরই ডোরিনা ক্রসিংয়ে দলনেত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে উপস্থিত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা স্লোগান দেন ‘‘মোদীবাবু চোর হ্যায়, রাফাল মে চোর হ্যায়…।’’

মমতা আরও বলেন, ‘‘ভোট এলেই বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়, মহিলাদের জন্য লোকসভায় ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হোক। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের এমনিতেই লোকসভায় ৩৫ শতাংশ মহিলা সাংসদ রয়েছে। আগামী নির্বাচনেও সেই ধারা বজায় রেখে ৩৩ শতাংশেরও বেশি প্রার্থী দেওয়া হবে।’’ আর সরকারের পক্ষ থেকে সব ছাত্রীকেই কন্যাশ্রীর আওতায় আনা, স্বাস্থ্যসাথীতে পরিবার প্রধান হিসেবে মহিলাদের কার্ড দেওয়া, ১০০ দিনের কাজে মহিলাদের ৪৮ শতাংশ উপস্থিতির মতো বিষয়ও উল্লেখ করেন মমতা। দাবি করেন ,“বাংলাই দেশের মধ্যে সেরা। মহিলাদের উন্নয়নে আমাদের রাজ্যই দেশের মধ্যে এক নম্বর।”

প্রসঙ্গত, ভোটের ঘোষণা আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। সেই আবহে এদিনের মিছিল নারীদিবসকে সামনে রেখে হলেও কার্যত ভোটেরই প্রচার শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নির্বাচনের কথা মনে রেখেই তৃণমূল নেত্রী যে জনসংযোগ বাড়ানোর পথেই পা বাড়ালেন, তা মানছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest