Site icon The News Nest

রামমন্দির ইস্যু নিয়ে বিরোধ, বৈঠকের মাঝেই হাতাহাতি বিজেপি-জেডিইউয়ের কর্মীদের

jdu

পাটনা: লোকসভা ভোটে লড়ার জন্য অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণই কি একমাত্র নির্বাচনী ইস্যু?‌ এই নিয়েই এবার বিহারে বিরোধ লাগল বিজেপি এবং সেখানে তাঁদের সহযোগী জেডিইউয়ের মধ্যে। শেষপর্যন্ত যা গড়াল হাতাহাতিতে। জোট শরিকদের মধ্যে এমন মারামারির ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে বিজেপি এবং নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ, দু’পক্ষই।

সমস্যার সূত্রপাত বিহারে বিজেপি–জেডিইউ–এলজিপি জোটের অন্যতম প্রার্থী রাম বিলাস পাসোয়ানের ভাই তথা বিহারের মন্ত্রী পশুপতি কুমার পরসের নির্বাচনী বৈঠকে। সম্প্রতি প্রচারের রোডম্যাপ ঠিক করতে যুগ্ম বৈঠকে বসেছিল বিজেপি এবং জেডিইউ। সেখানেই বৈঠক চলাকালীন জেডিইউয়ের সঞ্জয় বর্মা বক্তৃতা দিতে উঠে বলেন, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ কখনই নির্বাচনী প্রচারের একমাত্র ইস্যু হতে পারে না। তখনই তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করে ওঠেন বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা। চেয়ার–টেবিলে উঠে চিৎকার করতে শুরু করেন। রামমন্দির তৈরির পক্ষে স্লোগান তুলতে শুরু করেন। এরপরই সভায় উপস্থিত জেডিইউ কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের কয়েকজনের হাতাহাতিও হয়। এরপর চেয়ার ছোড়াছুড়িও শুরু হয়। মঞ্চেও উঠে পড়েন অনেকে।

এই ঘটনাকে ঢাকতে মরিয়া বিজেপি–জেডিইউ–এলজিপি জোটের প্রার্থী পশুপতি কুমার পরস। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘‌এ ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। সংবাদমাধ্যমই এই সমস্ত জিনিস দেখতে পায়। স্থানীয় মানুষ কোনও কিছুতেই রেগে নেই।’

এমনিতে কাশ্মীর এবং রামমন্দির ইস্যুতে দু’দলের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছেই। জেডিইউ-এর এক নেতা এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, “ভবিষ্যতেও মতভেদ থাকবে।” কিন্তু এত কসরত করে করা জোটে ভোটের মাঝে এমন ঘটনা ঘটলে তো অস্বস্তি হবেই। বিজেপি নেতারা এই ঘটনা আড়াল করতে মরিয়া। বিহার বিজেপি-র এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “তেমন কিছুই হয়নি। স্থানীয় লোকজনই কিছু জানে না। সংবাদমাধ্যম বেশি রং চড়াচ্ছে।”

কিন্তু বিজেপি নেতারা যাই বলুন না কেন, সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে ছবি আটকে রাখা মুশকিল। ওই ঘটনার ছবি সামনে চলে এসেছে। বিরোধীরাও সেটাকে অস্ত্র করতে ছাড়ছে না। প্রসঙ্গত, দলের ইস্তাহারে রামমন্দিরকে বিশেষ অনুচ্ছেদে জায়গা দিয়েছে বিজেপি। কাশ্মীর নিয়েও বিজেপি-র অবস্থানের সঙ্গে জেডিইউ-এর অবস্থান একেবারে উল্টো। সব মিলিয়ে এই দুটি ইস্যু নিয়েই বিতণ্ডা বেঁধে যায় হাজিপুরের সভায়।

Exit mobile version