রোজ ডিম্ খান? তাহলে নিঃশব্দে ডেকে আনছেন মৃত্যুকেই!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ডিম উপকারী নাকি অপকারী এ নিয়ে ফের চালু হয়েছে বিতর্ক ! জেএএমএ জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন সমীক্ষায় ফলাফল নিয়েই এই সংশয় তৈরি হয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রত্যেকদিন একটার বেশি এমন কি অর্ধেক ডিম খেলেও কার্ডিওভাসকুলার রোগের আশঙ্কা।এমনকি মৃত্যুর সম্ভাবনাও বেশ খানিকটা করে বেড়ে যায়।২৯৬১৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের উপরে সমীক্ষা চালিয়ে এই ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। আমেরিকাতে প্রায় সাড়ে সতেরো বছর ধরে এই পরীক্ষাটি চলেছে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রত্যেকদিন অতিরিক্ত ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরলও কিন্তু কার্ডিওভাসকুলার রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি আয়ুও বেশ খানিকটা কমিয়ে দিতে পারে।

গবেষণায় প্রকাশিত, ‘‘মানুষের রোজকার ডায়েটে এবং ডিমের মধ্যে দিয়ে শরীরে খাদ্যজ কোলেস্টেরল প্রবেশ করে। তবে খাদ্যজ কোলেস্টেরল ও ডিম কার্ডিওভাসকুলার রোগ বা আয়ুকে কতটা প্রভাবিত করে সেটা নিয়ে কিন্তু এখনো বিতর্ক চলছে।” ১৯৮৫ সালের ২৫ শে মার্চ থেকে শুরু করে ২০১৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত তথ্য গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে। এই তথ্য বিভিন্ন ব্যক্তির খাদ্যাভাসের উপরে ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘‘এই সময়কালের মধ্যে প্রায় ৫৪০০টি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঘটনা তাদের চোখে পড়েছে যার মধ্যে ২০৮৮টি কম থেকে অতিরিক্ত বিপজ্জনক। ১৩০২টি অতি বা কম বিপজ্জনক স্ট্রোকের ঘটনা দেখা গিয়েছে। ৬১৩২টি মৃত্যুর ঘটনা তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে।

রয়টার্সের সঙ্গে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার সময় গবেষণার সহ লেখক নুরিনা অ্যালেন, যিনি শিকাগোর নর্দান ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপকও, তিনি বলেছেন, মানুষের উচিত এখনই ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া। তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত খাদ্যজ কোলেস্টেরল গ্রহণের ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঘটনা এবং মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। তিনি ডিম-প্রেমীদের সাবধানবাণী দিয়ে বলেছেন, ‘‘অতিরিক্ত ডিম কিন্তু মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest