নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: বুথফেরত সমীক্ষাকে উড়িয়ে দিয়ে ফলাফল ঘোষণার আগের দিনই বাংলা থেকে সংসদে বাম প্রতিনিধি পাঠানোর কথা জোর গলায় বলেছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। কিন্তু ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গেল, আসন সংখ্যায় শূন্য নয়, একটি কেন্দ্র বাদে ৪১টি লোকসভা আসনে বামপ্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার ‘লজ্জাকর’ পরিসংখ্যানও উঠে এল!
গত পাঁচ বছর সময়ের ব্যবধানে এ রাজ্যে বামফ্রন্টের ভোট কমেছে হুহু করেছে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এ বার ভোট কমেছে ২৩ শতাংশ। কমিশনের সর্বশেষ দেওয়া হিসাবে এ বার বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার ঠেকেছে ৭ শতাংশে। যার বড়ো একটা অংশ চলে গিয়েছে অবধারিত ভাবে বিজেপির ঝুলিতে। অর্থাৎ, রাজ্যের শাসক দল নয়, গেরুয়া শিবিরের গুঁতোতেই ৪১টি আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বামফ্রন্টের। শুধু মাত্র যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ‘মান’ রেখেছেন রাজ্যের ৩৪ বছরের প্রাক্তন শাসক দলের।
এ বারের লোকসভা ভোটে চূড়ান্ত মেরুকরণ হয়ে গিয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানান সূর্যবাবু। তিনি বলেন, “আমাদের নজর রাখতে হবে এই মেরুকরণ যেন কোনো ভাবেই সাম্প্রদায়িক চেহারা না নেয়। রাজ্যের শান্তি বজায় রাখা একটা জরুরি বিষয়। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা এ ব্যাপারে বাড়তি দায়িত্ব নেবেন”। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ২০১৬-য় তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৫.৭১%। এ বার হয়েছে ৪৩.২৯%। সে বার বিজেপির ভোট ছিল মাত্র ১০.১৬% শতাংশ, এ বার তা বেড়ে হয়েছে ৪০.২২%। অন্য দিকে বামফ্রন্টের ভোট যেখানে ছিল ২৬%, তা এবার কমে হয়েছে মাত্র ৭%। এই হিসাব থেকেই স্পষ্ট রাজ্যের শাসক দলের ২ শতাংশ ভোট কমলেও বামেদের দিক থেকে বিপুল সংখ্যক ভোট ঢুকেছে বিজেপির ভাঁড়ারে।