লেনিন সরণির বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#কলকাতা: বিধ্বংসী আগুন লেনিন সরণির একটি বহুতলের ছাদের অস্থায়ী কাঠামোয়। দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। আগুন লাগার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশে পাশের বহুতলের বাসিন্দাদের মধ্যে।

রবিবার দুপু্রে হঠাত্ই বহুতলের ছাদে আগুন ও ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই বহুতলের পাঁচ তলার গেস্ট হাউস থেকে আগুন ছড়ায়। আগুন লাগার পরই টিনের শেড এবং দেওয়াল থেকে চাঙড় ভেঙে পড়তে শুরু করে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলকে। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছতে কুড়ি মিনিট দেরিতে দমকল। ততক্ষণে বেশ কিছুটা ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পরে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে দমকলকর্মীদের মতে, এলাকাটি বেশ ঘিঞ্ঝি। তাই বিল্ডিং-এর কাছাকাছি পৌঁছতে এবং আগুনের উত্সস্থলে জল দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের কর্মীদের।

তবে, পাশের একটি নির্মীয়মান বিল্ডিং-এর ছাদে পৌঁছেছেন দমকলকর্মীরা। সেখান থেকে পাশের ছাদে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিল্ডিংয়ের নিচের তলাগুলিতে এখনও কিছু বাসিন্দা আটকে থাকতে পারেন বলে দমকল সূত্রে খবর। তাঁদেরকে বিল্ডিং-এর সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।

ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে। বাকি কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর নেই। বাকি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, ওই বহুতলে বেআইনি ভাবে চলত গেঞ্জি তৈরির ফ্যাক্টরি। ছিল মোবাইল স্টোরও। দমকলকর্মীদের মতে, গেঞ্জি কারখানার দাহ্য বস্তুর কারণেই আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে অনুমান দমকলকর্মীদের।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest