Site icon The News Nest

সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও কথা নয়, সাংহাই সম্মেলনে ফের তোপ মোদীর

Shanghai Cooperation Organisation

#বিশকেক: সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো বন্ধ করতেই হবে পাকিস্তানকে। তারপরই তাঁদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা সম্ভব। ফের একবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল ভারত।

শুক্রবার কিরঘিজস্তানের বিশকেকে আয়োজিত সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে বক্তৃতা করেন তিনি। সেখানেই নাম না করে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন তিনি। মোদী বলেন, সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক, আশ্রয়দাতা এবংআর্থিক মদত জোগানো কাউকে রেয়াত করা যাবে না। বরং তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার থেকে দু’দিন ব্যাপী এসসিও সম্মেলন শুরু হয়েছে। গতকালই সেখানে পৌঁছে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এ দিন ওই সম্মেলনে হাজির ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তবে এক টেবিলে বসলেও, দুই রাষ্ট্রনেতাকে একবারও কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই বক্তৃতা করার সময় সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ইসলামাবাদকে তীব্র আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদী।

মোদী জানান, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ে তোলাই লক্ষ্য ভারতের। তার জন্য মানবতাবাদী সব শক্তিকে একজোট হতে হবে। এসসিও-র আঞ্চলিক সন্ত্রাস দমন সংগঠন (র‌্যাটস)-র আওতায় একজোট হয়ে লড়তে হবে সদস্য দেশগুলিকে। সংকীর্ণ স্বার্থবোধ ছেড়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়তে হবে সকলকে। সেই সঙ্গে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এসসিও-র অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিকে আন্তর্জাতিক স্তরের সম্মেলনের আয়োজন করতেও আহ্বান জানান তিনি।

সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের উপর এমনিতেই আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। তার উপর চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈশ–ই–মহম্মদের হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আপোসহীন মনোভাব নিয়েছে ভারত। এই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জৈশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান বদলে সায় দেয় বেজিংও। ফলে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে পাকিস্তান এখন একপ্রকার কোনঠাসা ।

অনেকেই মনে করেছিলেন, বিশকেকে আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু সেটা হল না। দুই রাষ্ট্রপ্রধান টেবিলে একে অপরের সঙ্গে মুখোমুখি বসলেন ঠিকই, তবে কোনও কথা হল না। এমনকী শুভেচ্ছা বিনিময় পর্যন্ত হল না। বৃহস্পতিবার রাতে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন কিরঘিস্থানের প্রেসিডেন্ট সুরনবে জিনবেকভ। সাংহাই কো–অপারেশন সম্মেলনে আসা দেশগুলির প্রধানদের নিয়ে নৈশভোজ ছিল। সেই নৈশভোজের টেবিলে যখন মুখোমুখি হলেন মোদী–ইমরান তখন মনে করা হচ্ছিল, হয়তো শুভেচ্ছা আদানপ্রদান হতে পারে। কিন্তু তাও হল না। আসলে পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে দুই দেশের। যা এখনও অব্যাহত।

উল্লেখ্য, মোদী পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ইতিমধ্যে দু’বার আলোচনা চেয়ে বার্তা দিয়েছেন ইমরান। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিও বিসকেকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য জোর সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু সেটা যে এখনই হচ্ছে না, তা বোঝা গেল ওই নৈশভোজের পরে।

Exit mobile version