Site icon The News Nest

সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিল তাইওয়ান, এশিয়ার মধ্যে প্রথম

gettyimages 687584788

Same-sex activists hug outside the parliament in Taipei on May 24, 2017 as they celebrate the landmark decision paving the way for the island to become the first place in Asia to legalise gay marriage. Crowds of pro-gay marriage supporters in Taiwan on May 24 cheered, hugged and wept as a top court ruled in favour of same-sex unions. / AFP PHOTO / SAM YEH (Photo credit should read SAM YEH/AFP/Getty Images)

#হংকং: সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনত স্বীকৃতি দিল তাইওয়ান। এই ক্ষেত্রে এশিয়ার মধ্যে প্রথম তাইওয়ান। শুক্রবার এই সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে আয়োজন করা হয়েছিল ভোটের। সেই ভোটের ফলের পরই সে দেশের সংসদ সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি বৈধতা দিল।

এর আগে ২০১৭ সালে সাংবিধানিক আদালত একটি রায়ে সে দেশের সমলিঙ্গ দম্পতিদের আইনত ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অধিকার দিয়েছিল। সংসদে এই বিষয়টি পাশ করার জন্য দুই বছরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ২৪ মে তারিখের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ছিল। যাই হোক ২৪ মে থেকে এটি কার্যকর হবে।

এই স্বশাসিত দ্বীপটিতে একটি বড়ো সংখ্যায় সমকামী সম্প্রদায় রয়েছে। এই বিষয়টির বৈধতা নিয়ে সংসদে তিনটি আলাদা বিল নিয়ে আলোচনা হয়। অবশেষে বিলটি পাশ হয়ে যায়। বিল পাশের দিন অসংখ্য সমর্থনকারী বৃষ্টির মধ্যেই রাজধানীতে সংসদের বাইরে জমায়েত হযন। আনন্দে সকলে চিৎকার করে ওঠেন। অনেকের চোখেই আনন্দাশ্রু বয়ে যায়। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে গণভোট হয়েছিল। সেই সময় ৬৭% এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পক্ষে মত দিয়েছিল।

এই বিল ছাড়াও রক্ষণশীল দলের পক্ষ থেকেও দু’টি বিল পেশ করা হয়। তাতে এই সমকামীদের সম্পর্ককে ‘বিবাহে’র পরিবর্তে  ‘সমলিঙ্গ পারিবারিক সম্পর্ক’ বা ‘সমলিঙ্গ সংঘ’ বা ‘সেম সেক্স ইউনিয়ন’ বলার কথা বলা হয়েছিল।৩৩ বছরের সমকামী শিল্পী ওয়ু টিযু-এন এই উপলক্ষ্যে বলেন, এই পর্যায়ে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এই দিনটি সর্বশ্রেষ্ঠ। তা ছাড়া তাইওয়ান যে চিন থেকে আলাদা, এখানেই সেটি প্রমাণিত। চিনের মূল ভূখণ্ডে এই সমকামী বিবাহ বৈধতা পায়নি। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে বিবাহ করতে না চাইলেও বলেন, এটি সমানাধিকারের লক্ষণ।

চিনের এলজিবিটি সম্প্রদায়ের আইনজীবী জিয়াওগ্যাঙ ওয়াই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই সিদ্ধান্ত চিনের এলজিবিটি সম্প্রদায়ের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাদের জন্য সিদ্ধান্ত অনেকটাই আশার আলোর মতো।

ভোটের পর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট টিসাই ইং-ওয়েন টুইট করে বলেন, “সমানাধিকারের ক্ষেত্রে আমরা একটি বড়ো পদক্ষেপ নিয়েছি। এবং তাইওয়ানকে একটি ভালো দেশে পরিণত করেছি”। প্রসঙ্গত প্রেসিডেন্ট এই বিলটিকে পাশ করার পর এটি আইনে পরিণত হবে।

Exit mobile version