লখনউ: পদস্থ আমলা-পুলিশকর্মীদের সামনেই সরকারি বৈঠকে মারপিটে জড়ালেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ শরদ ত্রিপাঠী এবং কবিরনগরের বিধায়ক রাকেশ বাগেল।
ঘটনার সূত্রপাত একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে। কবিরনগর জেলায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের জেলা সমন্বয় কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে জনপ্রতিনিধি এবং আমলারা হাজির ছিলেন। কয়েক দিন আগেই ওই এলাকায় একটি প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। কিন্তু সেই শিলান্যাসের ফলকে বিধায়ক রাকেশ বাগেলের নাম থাকলেও সাংসদ শরদ ত্রিপাঠীর নাম রাখা হয়নি। কেন ফলকে তাঁর নাম রাখা হয়নি, এ নিয়ে বৈঠকে বিধায়ককে প্রশ্ন করেন সাংসদ। বিধায়কের উত্তর ছিল, তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্রে যাবতীয় সরকারি প্রকল্পের দায়-দায়িত্ব তাঁর নিজের উপর। তাই তাঁর নাম রাখা হয়েছে।এতেই চটে যান সাংসদ। আরও উত্তেজিত হয়ে নির্দেশ দেন, ওই নাম ফলকে তাঁর নামও ঢোকাতে হবে। তখন বিধায়ক জানান, এক বার নামফলক তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন আর তাতে অন্য কারও নাম ঢোকানো সম্ভব নয়। এতেই আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাংসদ। ভরা বৈঠকের মধ্যেই পা থেকে জুতো খুলে বিধায়ককে পেটাতে শুরু করেন। তার সঙ্গে চলতে থাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি। আচমকা আক্রমণের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ ও পাল্লা জবাব দিতে শুরু করেন বিধায়কও। তিনিও সাংসদকে চড় মারতে শুরু করেন।দুই নেতার মারপিট থামাতে ছুটে আসে পুলিশ।
৪৭ বছর বয়সী বিজেপি নেতা শরদ ত্রিপাঠী সন্ত কবীর নগরের সাংসদ। টুইটারে তাঁর প্রোফাইলে লেখা, ‘নেশন অলয়েস কামস ফাস্ট।’ অন্য দিকে মেনদওয়ালের বিধায়ক ৫২ বছর বয়সী রাকেশ সিং বাঘেল যোগী আদিত্যনাথের তৈরি ‘হিন্দু যুব বাহিনী’র সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গোটা এই ঘটনার ভিডিয়ো সংবাদ মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ব্লক বা পঞ্চায়েত স্তরের কোনও নেতা নন, দু’জনই সর্বোচ্চ পর্যায়ের জন প্রতিনিধি। তাঁরাই যদি এ রকম নজির সৃষ্টি করেন, তা হলে জনমানসে তার কী প্রভাব পড়বে। বিজেপির উদ্দেশে দু’জনের বিরুদ্ধেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।কিন্তু গোটা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে বিজেপি। মন্তব্য করতে চাননি কোনও নেতাই।