Site icon The News Nest

সরতে হচ্ছে রবি শাস্ত্রীকে? ভারতীয় দলের কোচ নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিল বিসিসিআই

Ravi Shastri Headingley Reuters social 1140x570

#নয়াদিল্লি: কোচের পদ থেকে সরতে হচ্ছে রবি শাস্ত্রীকে? সে রকম একটি ইঙ্গিত কিন্তু হালকা করে পাওয়া যাচ্ছে। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের শেষে শাস্ত্রীর সঙ্গে চুক্তির আর পুনর্নবীকরন করা হবে না। ফলে কোচের পদে থাকতে চাইলে নতুন করে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে শাস্ত্রীকে।

শুধু শাস্ত্রীই নয়, বিসিসিআই সূত্রে খবর ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার এবং বোলিং কোচ ভরত অরুণের চুক্তিও বাড়ানো হবে না। ফলে দায়িত্বে থাকতে চাইলে তাঁদেরও নতুন করে আবেদন করতে হবে। সেপ্টেম্বরেই কোচের জন্য নতুন করে আবেদন নেবে বিসিসিআই।

নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারত। প্রশ্ন উঠেছে দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। কেন গোটা টুর্নামেন্টে চার নম্বর ব্যাটসম্যানই ঠিক করে উঠতে পারল না ম্যানেজমেন্ট? শেষ চারের লড়াইয়ে ধোনিকে সাত নম্বরে নামানো নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিসিসিআইয়ের প্রশাসনিক কমিটি (সিওএ) সাফ জানিয়ে দিল, এবার দলে কিছু পরিবর্তনের সময় এসেছে। মঙ্গলবার সিওএ-র তরফে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। যেখানে টিম ইন্ডিয়ার জন্য সাপোর্ট স্টাফ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। একটি মেলে সিওএ লিখেছে, “ভারতীয় সিনিয়র দলের জন্য নিম্নলিখিত পদে প্রার্থী চাইছে বিসিসিআই। আগ্রহীরা আগামী ৩০ জুলাই বিকেল ৫টার মধ্যে আবেদন জানাতে পারেন। recruitment@bcci.tv মেল আইডি-তে পাঠাতে হবে বায়োডেটা।” হেড কোচ, ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোচ, ফিজিও, স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ ও প্রশাসনিক ম্যানেজার পদের জন্য আবেদন জানানো যাবে। ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ পর্যন্তই চুক্তি ছিল রবি শাস্ত্রীর। তবে কোচ এবং বাকি সাপোর্ট স্টাফদের অতিরিক্ত ৪৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বর্তমান কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফরাও সরাসরি অংশ নিতে পারবেন। যদিও নিয়োগের ক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে বিতর্কিত ভাবে কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন অনিল কুম্বলে। বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না বলেই তিনি এমনটা করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছিল। তার পরেই সেই দায়িত্বে আসেন শাস্ত্রী। যদিও ২০১৪ থেকে ২০১৬-এর জুন পর্যন্ত অলিখিত ভাবে ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন শাস্ত্রীই। বিরাটের সঙ্গে শাস্ত্রীর সম্পর্ক খুবই মধুর, ফলে বিরাটের জেদের জন্যই শাস্ত্রী কোচ হয়ে যান।

কিন্তু গত দু’ বছরে ভারতকে বড়ো কোনো ট্রফি দিতে পারেননি শাস্ত্রী। এ বছর শুরুতে অস্ট্রেলিয়া থেকে টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরেছেন ঠিকই, কিন্তু সেই অস্ট্রেলিয়া অনেকটাই দুর্বল ছিল। সূত্রের খবর, শাস্ত্রীর কাজকর্মে বিসিসিআইয়ের অনেকেই অসন্তুষ্ট। যেমন অসন্তুষ্ট সঞ্জয় বাঙ্গার এবং ভরত অরুণের কাজ নিয়েও। অনেকেই চান ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে গোটা সাপোর্ট স্টাফের দলটিকেই পালটে ফেলা হোক। সেই কারণেই শাস্ত্রীর চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াচ্ছে না বিসিসিআই।

Exit mobile version