নয়াদিল্লি: বেজে গিয়েছে লোকসভা ভোটের দামামা। সাত দফার মধ্যে প্রথম দফার নির্বাচন ১১ এপ্রিল। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনে সম্পত্তি আয়ের হলফনামা দাখিল করছেন প্রার্থীরা। শনিবার হলফনামা দাখিল করলেন অমিত শাহ। দেখে নেওয়া যাক, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ-
- নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যাচ্ছে সাত বছরে অমিত শাহর সম্পত্তি বেড়েছে ৩ গুণেরও বেশি। ২০১২ সালে গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার সময় অমিত শাহ নিজের পারিবারিক সম্পত্তি দেখিয়েছিলেন ১১ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা।
- বর্তমানে তাঁর পারিবারিক সম্পত্তির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৩৮ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ গত সাত বছরে বিজেপি সভাপতির সম্পত্তি ৩ গুণেরও বেশি বেড়েছে। তাঁর রোজগারের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে, সাংসদ হিসেবে পাওয়া বেতন, সম্পত্তি থেকে পাওয়া ভাড়া এবং কৃষিক্ষেত্রে আয়।
- নির্বাচন কমিশনে শাহের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, তাঁর নিজের হাতে নগদ রয়েছে ২০ হাজার ৬৩৩ টাকা।অমিত শাহের ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে ২৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। তাঁর স্থায়ী আমানতের পরিমাণ ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।ব্যক্তিগত কোনও গাড়ি নেই শাহের, এমনটাই বলা হয়েছে হলফনামায়।
- মজার কথা হল, রোজগার বৃদ্ধির নিরিখে স্বামীকে অনেকটাই পিছনে ফেলেছেন অমিত শাহর গৃহকর্ত্রী সোনাল শাহ। আয়কর দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী সোনাল শাহর ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল কমবেশি ১৪ লক্ষ টাকা। এই মুহূর্তে তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২.৩ কোটিতে। অর্থাৎ, প্রায় ১৬ গুণ বেড়েছে সম্পত্তি।
- একজন গৃহকর্ত্রীj এই আয়বৃদ্ধিতে চক্ষু চড়কগাছ হচ্ছে অনেকেরই। শাহ অবশ্য স্ত্রীর রোজগারের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন, সম্পত্তি থেকে পাওয়া ভাড়া এবং শেয়ার বাজার থেকে পাওয়া ডিভিডেন্ডকে।হলফনামা বলছে, শাহের স্ত্রীর হাতে নগদ রয়েছে ৭২ হাজার ৫৭৮ টাকা।
- শাহের সস্ত্রীক বার্ষিক আয় (আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী) ২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা।
- অমিত শাহের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে চারটি। পশ্চিমবঙ্গে দু’টি, বিহারে দু’টি। তবে কোনওটিতেই দোষী সাব্যস্ত নন অমিত।
- অমিত পড়াশোনা করেছেন বি কম দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত।