সাধ্বী প্রজ্ঞা একজন দেশপ্রেমিক ও নিষ্পাপ কন্যা, সাফাই শিবরাজ সিং চৌহানের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভোপাল: মালেগাঁও বিস্ফোরণের অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর এবার বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দুবার নির্বাচন কমিশনের থেকে নোটিশ পেয়েছেন তিনি। এহেন সাধ্বীকে ভারতের নিষ্পাপ কন্যা বললেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।

সোমবার সাংবাদিকদের সামনে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা বলেন, মালেগাঁও বিস্ফোরণে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রজ্ঞাকে। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ের এই বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছিলেন। এই বিস্ফোরণে যুক্ত থাকার অভিযোগে এটিএস-এর হাতে গ্রেফতার হন স্বাধ্বী প্রজ্ঞা। এই প্রসঙ্গে শিবরাজ বলেন, “সাধ্বীর বিরুদ্ধে আইনকে ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। জেলের মধ্যে ওঁর উপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে। ওঁকে কী সহ্য করতে হয়েছে, তা শুনলে সবাই শিউরে উঠবেন।” এমনকী এ ব্যাপারে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা সাধ্বী প্রজ্ঞার প্রতিদ্বন্দ্বী দিগ্বিজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন শিবরাজ। তিনি বলেন, “ওঁর বিরুদ্ধে হিন্দু সন্ত্রাসের হাওয়া তুলে ওঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ সবের পিছনে মাথা ছিলেন দিগ্বিজয় সিং।”

শিবরাজ সিং চৌহান আরও জানিয়েছেন, ১৯৮৯ সাল থেকে এই কেন্দ্র বিজেপির দখলে। তাই অপেক্ষাকৃত সহজ কেন্দ্রেই প্রার্থী করা হয়েছে প্রজ্ঞাকে। তিনি বলেছেন, “বিজেপির যে কোনও প্রার্থীই এই কেন্দ্রে দিগ্বিজয় সিংকে হারাতে পারে। কিন্তু দলের তরফে প্রজ্ঞাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না, এটা নিয়ে এত হাঙ্গামা করার কী আছে?” জামিনে মুক্তি পেলেও প্রজ্ঞার ভোটে দাঁড়ানোর পুরো অধিকার আছে বলেই মন্তব্য করেছেন শিবরাজ। তিনি বলেন, “এটা সেই দেশ, যেখানে দ্রৌপদীকে অপমান করার জন্য মহাভারতের যুদ্ধ হয়েছিল। সাধ্বী প্রজ্ঞার অপমান কেউ মেনে নেবেন না। মানুষ ভোটেই তার জবাব দেবে।”  কয়েক মাস আগে মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনে পরাজিত হয় বিজেপি। সরকার করে কংগ্রেস। তার আগে  টানা ১৫ বছর বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শিবরাজ তিনি বলেন ভোপালে বড় ব্যবধানে শান্তির জয় হবে।

সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাধ্বী প্রজ্ঞা মন্তব্য করেছিলেন, হেমন্ত কারকারে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার করেছিলেন। তাই তিনি অভিশাপ দিয়েছিলেন কারকারেকে। তারপরেই ২৬/১১-এর মুম্বই হানায় প্রাণ যায় কারকারের। এরপরে তিনি মন্তব্য করেন, করসেবকদের সঙ্গে তিনিও বাবরি মসজিদ ভাঙতে গিয়েছিলেন। এই জন্য তিনি গর্বিত। বিজেপি প্রার্থীর করা এই দুই মন্তব্যের পর সমালোচনা শুরু করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, প্রার্থী পদ কেড়ে নেওয়া উচিত সাধ্বীর। এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে দুটি নোটিসও পাঠায় নির্বাচন কমিশন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest