ভোপাল: ২০১৮-র মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে তিনিই ছিলেন বিজেপির একমাত্র মুসলিম প্রার্থী৷ গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার অভিযোগ ওঠে তা বরাবরই খারিজ করে এসেছেন তিনি৷ উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেছেন নিজেকে৷ কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে৷ ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা যেভাবে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করছেন, তাঁতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন মধ্যপ্রদেশে বিজেপির পরিচিত মুসলিম মুখ ফতেমা রসুল সিদ্দিকি৷ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রার্থীর হয়ে প্রচারে অংশ গ্রহণ করবেন না তিনি৷
গত বিধানসভা নির্বাচনে ভোপালে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন ফাতিমা রসুল সিদ্দিকি। শিবরাজ সিং চৌহান ঘনিষ্ঠ এই নেত্রী ছিলেন দলের সংখ্যালঘু মুখ। ফাতিমা রসুলের দাবি, মালেগাঁও বিস্ফোরণের তদন্ত নিয়ে প্রজ্ঞা যেসব মন্তব্য করেছেন তা একপ্রকার ধর্মযুদ্ধ ঘোষণার সামিল। ওর মন্তব্য সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক। উনি মুসিলমদের সম্পর্কে যেসব কথা বলছেন তা আপত্তিজনক। মুম্বই হামলায় শহিদ পুলিস আধিকারিক হেমন্ত কারকারে সম্পর্কে উনি যেসব মন্তব্য করেছেন তাতে আমি ক্ষুব্ধ।বিজেপি নেত্রী আরও বলেন, প্রজ্ঞা যেসব মন্তব্য করেছেন তাতে শিবরাজ সিং চৌহানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এতদিন ধরে রাজ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন শিবরাজ সিং চৌহান। আমার বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যালঘু ভোটারদের শিবরাজ সিং চৌহানের ওপরে প্রবল শ্রদ্ধা রয়েছে। যে ভাষায় উনি কথা বলছেন তাতে আমার আপত্তি রয়েছে। উন্নয়ণের কথা বাদ দিয়ে উনি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর মতো কথা বলছেন।