সূর্যকান্তর বক্তৃতা শোনাতে ‘মাইক-ম্যান’ হয়ে রাস্তায় বাম কর্মী-সমর্থকরা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

জলপাইগুড়ি: লোকসভা নির্বাচন ঘিরে অভিনব মুহূর্ত জলপাইগুড়িতে৷ বাম কর্মীরা তাঁদের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে হওয়া জনসভার কথা পৌঁছে দিতে নিজেরাই মাইক ম্যান হয়ে গেলেন৷

শুক্রবার উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি ছিল সূর্যকান্ত মিশ্রের । কিন্তু এ দিন সকালেই সিপিএম-কে কমিশনের তরফে জানানো হয়, লাইটপোস্টে মাইক বেঁধে জনসভা করা যাবে না। দলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, “বিরোধীরা চেষ্টা করেছিল সভা যাতে বানচাল হয়। কিন্তু আমাদের কর্মীরা তা হতে দেয়নি।”  দেখা যায় সারা জলপাইগুড়ি শহরে রাস্তার দু’ধারে সিপিএম কর্মীরা মাইক কাঁধে দাঁড়িয়ে আছেন। তাতেই বাজে গণসঙ্গীত এবং বক্তৃতা দেন রাজ্য সম্পাদক। ২০০৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যে দেওয়াল লেখায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। সে বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই নিষেধাজ্ঞার কথা যখন জানানো হয়, তখন তৎকালীন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাস বলেছিলেন, “দেওয়ালে নিষেধাজ্ঞা থাকলে কী হবে, আমাদের কর্মীরা গায়ে দলীয় প্রতীক এঁকে প্রচার করবে।” পরের মাসেই অর্থাৎ ২৫ মার্চ আকস্মিক মৃত্যু হয় অনিল বিশ্বাসের। সিপিএম সে বার অ্যাপ্রনের ব্যবস্থা করেছিল। এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও প্রচারের জন্য সেই কৌশল নিয়েছিল।cpm myke

এ দিনের মাইক খুলে দেওয়ার ঘটনায় সিপিএম অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন,“ বিরোধীদল কমিশনকে অভিযোগ জানিয়েছে যাতে আমরা লাইট পোস্টে মাইক বাঁধতে না পারি৷ আমরা মাইক বেঁধেছি দুদিন ধরে৷ তখন কোনও অভিযোগ হয়নি৷ সভা শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তে বলা হচ্ছে রাস্তায় মাইক বেধে সভা করা যাবে না৷ আমরা বলেছি আমরা জনসভা করব৷ লাইট পোস্টে মাইক থাকবে না তো কি হয়েছে? আমরা কাঁধে মাইক নিয়ে রাস্তার দুই ধার দিয়ে গোটা শহর ঘুরবো৷” তিনি আরও জানান,“ আমাদের কাঁধই মাইকের স্ট্যান্ড এই বার্তাই আমরা সাধারণ মানুষকে দিতে চাই৷ গায়ের জোরে বিরোধীরা আমাদের সভা বন্ধ করতে পারবে না৷ এর প্রতিবাদে আমরা পোস্টার ঝুলিয়ে কাঁধে মাইক নিয়ে রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে আছে৷কোনও শক্তি নেই, কোনও শক্তি এখনও পয়দা হয়নি যে আমাদের সভা বন্ধ করবে৷ এটা আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে পারি৷”যদিও জলপাইগুড়ির তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “এখন প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের আওতায়। এখানে তৃণমূল কী করবে। সিপিএমের বোধ-বুদ্ধি সবই গিয়েছে। তাই এ সব বলছে।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest