সেপ্টিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মৃত ৭

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#আহেমদাবাদ: সেপ্টিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে সাত জনের মৃত্যু। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের দাভৈ অঞ্চলে।

একটি হোটেলের সেপ্টিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে তার ভেতরে ঢুকেছিলেন সাত জন। এঁদের মধ্যে চার জন নিকাশিকর্মী এবং বাকি তিন জন তাঁদের সাহায্যের জন্য ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫ বছর বয়সি মহেশ পাটনওয়াড়িয়া প্রথম ঢুকেছিলেন ওই ট্যাঙ্কের ভেতরে। সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁর বেরিয়ে না আসার ফলে সন্দেহ হয় বাকি ছ’ জনের। তাঁকে খুঁজতে একে একে সবাই সেপ্টিক ট্যাঙ্কের ভেতরে ঢোকেন। তার পরেই তাঁদের এই মর্মান্তিক পরিণতি।

অভিযোগ, কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করেই সাত জনকে নর্দমা সাফাই করতে নামিয়েছিলেন হোটেল-কর্তৃপক্ষ। হোটেল-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। দাভোই ডিভিশনের ডিএসপি কল্পেশ সোলাঙ্কি বলেছেন, “ঘটনার কারণ এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। অনুমান করা হচ্ছে, হোটেলের সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসেই দম আটকে দিয়ে মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। তবে, সেই গ্যাসটা আসলে কী, তা এখনও জানা যায়নি। নর্দমা-সাফাইয়ে নামানোর সময় কারও জন্যই প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেননি হোটল-কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে নর্দমা পরিষ্কার করতে নামেন এক সাফাই-কর্মী। দীর্ঘ ক্ষণ তাঁর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে ম্যানহোলে নেমে পড়েন বাকিরাও। তাঁদেরও কোনও সাড়াশব্দ না মেলায় গর্তে নামেন হোটেলের বাকি তিন কর্মী। হোটেল-মালিকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পুলিশের কাছে। সাফাই-কর্মীদের দিয়ে নর্দমা পরিষ্কারের কাজ বহু দিন আগেই নিষিদ্ধ হয়েছে। বৃহত্তর আন্দোলনও হয়েছে দেশ জুড়ে।

গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের সাফাই-কর্মীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইলাহাবাদে কুম্ভ মেলায় যাঁরা বাথরুম পরিষ্কার করেছিলেন, তাঁদের পাঁচ জনের পা ধুইয়ে দিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest