Site icon The News Nest

স্ত্রীকে মারধরের দায়ে গ্রেফতার হিরো আলম

নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক : পনের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করার দায়ে গ্রেফতার করা হল বাংলাদেশের আলোচিত অভিনেতা এবং ইউটিউবার হিরো আলমকে তাঁর স্ত্রী দিয়া আক্তার সুমির বাবা সাইফুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে  ‘চাপাবাজ’ হিরো আলমকে বুধবার রাতেগ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বগুড়া থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সুমির বাবার অভিযোগ বেশ কিছু দিন ধরেই ২ লক্ষ টাকা পনের দাবিতে তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার করছিলো হিরো আলম। মঙ্গলবার রাতেও মারধর করা হয় সুমিকে। চিকিৎসার জন্য সুমিকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এর পরই থানায় অভিযোগ জানান সাইফুল ইসলাম।  সংবাদ মাধমের সামনে সুমি হিরো আলমের পরকীয়া ও দ্বিতীয় বিয়ের বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন,”‘রাতে খাবারের পর মোবাইলে কোনও মেয়ের সাথে কথা বলছিল। আমি নিষেধ করলে বলে আমি ১০টা মেয়ে নিয়ে ঘুরব, যা ইচ্ছে তা-ই করব।হিরো আলম বলে, আমি ঢাকায় বিয়ে করেছি। এভাবে থাকতে পারলে থাকো না হলে চলে যাও। এর এক পর্যায়ে আলম আমার গলা চেপে ধরে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করে জখম করে। এখন আমার ৩ ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথায় যাব?” হিরো আলমের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধের পর মেয়েকে আবারও নির্যাতন করা হয়েছে, খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করেন। সুমির মাথার পিছনে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে।

অন্যদিকে, সুমির  বাপের বাড়ির লোকজন হিরো আলমকে মারধর করেছেন। এই অভিযোগে হিরো আলমও তার শ্বশুর ও স্ত্রী-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।পাল্টা স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন তিনি।  উল্লেখ্য, বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামে একসময় সিডি বিক্রি করতেন হিরো আলম। সিডি যখন চলছিল না তখনই মাথায় আসে কেবল সংযোগ বা ডিশ ব্যবসার। এই ব্যবসার সুবাদে মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে প্রকাশ শুরু করেন তিনি। অনলাইনে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁকে নিয়ে শুরু হয় ট্রোল। রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তিনি।
হিরো আলম এরই মধ্যে ‘মার ছক্কা’ নামে একটি চলচ্চিত্রে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালক প্রভাত কুমারের ‘বিজু দ্য হিরো’ নামে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করছেন তিনি। এসব পরিচিত কাজে লাগিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে হেরে যান তিনি।

Exit mobile version