স্নাতকই নন, হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

লখনউ : তিনি যে স্নাতক স্তরের লেখাপড়াটাও শেষ করেননি, এ বার নিজেই জানিয়ে দিলেন মোদী সরকারের প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

অমেঠীতে তিনি এ বারও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রার্থী। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে পাশে নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে মিছিল করে জেলা সদর গৌরীগঞ্জে গিয়ে মনোনয়ন পত্র পেশ করেছেন স্মৃতি জুবিন ইরানি। সেই মনোনয়নের সঙ্গে দেওয়া হলফনামায় প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৯৯৩-এ দিল্লির হোলি চাইল্ড অক্সিলিয়াম স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পরের বছরে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের করেসপন্ডেন্স কোর্সে বি কমে-এ ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি। Irani Degree

২০০৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মনোয়নের সঙ্গে হলফনামায় স্মৃতি জানিয়েছিলেন, ১৯৯৬-এ তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেছেন। আবার রাজ্যসভা নির্বাচনে গুজরাত থেকে প্রার্থী হওয়ার সময়ে তিনি যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তাতে তিনি বি কম-এর পার্ট ওয়ান পাশ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ২০১৬-য় আহমের খান নামে এক জন দিল্লির আদালতে অভিযোগ করেন, নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে এক এক বার এক এক রকম হলফনামা দিয়ে বেআইনি কাজ করেছেন ইরানি।দু’ধরনের শিক্ষাগত যোগতা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে বিরোধীরা তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব হন। ভুয়ো ডিগ্রি মামলা দায়ের হয় আদালতে। পরে জানা যায়— উচ্চশিক্ষামন্ত্রী হিসাবে স্মৃতি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, এমনকি তথ্যের অধিকার আইনেও যদি কেউ তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে কোনও তথ্য জানতে চান, তাঁকে যেন তা না-দেওয়া হয়। বার বার জানতে চাওয়া হলেও নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা স্মৃতি দেননি।

বিতর্কের শেষ অবশ্য এখানেই হয়নি।  ২০১৪ সালে একটি অনুষ্ঠানে স্মৃতি ইরানি হঠাৎই দাবি করে বসেছিলেন, তিনি আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। পরে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় নিজের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হন তিনি।সে জন্যই তাঁর এ বারের হলফনামা নিয়ে আগ্রহ ছিল। তাতে তিনি মেনে নিয়েছেন, দেশের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী পদে থাকলেও নিজে উচ্চশিক্ষার চৌকাঠ পেরোতে পারেননি। ১৯৯৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পরের বছরে কেন তিনি করেসপন্ডেন্স কোর্সে বি কম-এ ভর্তি হয়েছিলেন, তা নিয়েও অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। তা হলে কি খারাপ নম্বরের জন্যই কোনও কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি শিক্ষামন্ত্রী? আবার তিনি আদৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কি না, তা নিয়েও সন্দিহান অনেকে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন কোনও নথি আদালতে দেখাতে পারেনি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest