হার্দিক পান্ডিয়া ও ওপেনার লোকেশ রাহুলের পাশে দাঁড়ালেন না ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি৷গত রবিবার টেলিভিশনে ওই টক শো প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায় হার্দিক-রাহুল। নারীবিদ্বেষী বলে চিহ্নিত হয়েছে দু’জনের মন্তব্য। মারাত্মক সমালোচনা শুরু হওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড শোকজ করে দু’জনকে। একদিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়। হার্দিক ক্ষমা চান সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি ক্ষমা চেয়েছেন প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রীর কাছে। বডোধরার অলরাউন্ডার বলেন, ওই অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি। তবে তাতে বিতর্ক থামছে না। প্রশাসকদের কমিটির প্রধান বিনোদ রাই দুই ক্রিকেটারকে দুই ম্যাচ নির্বাসনের সুপারিশ করেছেন।
হার্দিক-রাহুলের মন্তব্যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সংস্কৃতি নিয়ে উঠে পড়েছে প্রশ্ন। কিন্তু শুক্রবার সিডনিতে কোহালি সাফ জানিয়েছেন,’এই ধরনের যে কোনও মন্তব্য আমরা সমর্থন করি না। কোথায় ভুল হয়েছে, তা ওই দুই ক্রিকেটার বুঝতে পেরেছে। যা হয়েছে তা কত গুরুতর বিষয়, সেটাও উপলব্ধি করেছে ওরা। এই ধরনের মন্তব্য যে মানুষের খারাপ লাগবে, তা নিশ্চিত ভাবেই বুঝেছে ওরা। ভারতীয় ক্রিকেট দলের দায়িত্বশীল ক্রিকেটার হিসেবে আমরা এই ধরনের মন্তব্যের সঙ্গে মোটেই সহমত পোষণ করছি না। এগুলো ব্যক্তিগত মতামত। আমরা এখনও এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। আর এই ঘটনায় আমাদের ড্রেসিংরুমের বিশ্বাস বা মতাদর্শে কোনও পরিবর্তন ঘটছে না। আমরা যে স্পিরিট নিয়ে খেলছি, সেটাও অব্যাহত রয়েছে।’
এই আবহে শনিবার থেকে শুরু হতে চলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া একদিনের সিরিজ। এই ঘটনায় প্রথম একদিনের ম্যাচের আগে সমস্যায় ভারতও। কারণ, হার্দিককে প্রথম এগারোয় রাখা যাবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। কোহালি বলেছেন, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা না যাওয়া পর্যন্ত কম্বিনেশন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। এই কারণেই ভারত ১২ জনের দল ঘোষণা স্থগিত রেখেছে। টেস্ট সিরিজে প্রত্যেক ম্যাচের আগের দিনই ১২ জন জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।যা আভাস, হাতে হার্দিকের নির্বাসন নিশ্চিত। তবে কিছুটা ছাড় পেতে পারেন রাহুল।