#নয়াদিল্লি: আগামী ৩০ মে, সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, “আগামী ৩০ মে, সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি”। তবে ওই দিন প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কোন কোন মন্ত্রী শপথ নেবেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এনডিএ জোটের প্রস্তাব মতোই মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা শপথ নিতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন ফলাফলে দেখা গিয়েছে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বিজেপি। তাদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা তিনশো পেরিয়ে গিয়েছে। যে কারণে, প্রধানমন্ত্রীপদে মোদীর দ্বিতীয়বারের জন্য পুনরাভিষেক শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষামাত্র। প্রসঙ্গত, গত শনিবারই পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এনডিএর নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন মোদী। একই সঙ্গে শরিক দলের নেতৃত্বও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে লিখিত ভাবে জানান, এনডিএ জোট মোদীকেই প্রধানমন্ত্রীপদে দেখতে চায়।
ইতিমধ্যেই নিজের বিদেশ সফরের দিনক্ষণ ছকে ফেলেছেন তিনি। জুনেই তিনি পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশে। সাংহাই কোঅপরেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিতে কিরঘিজস্থান যাবেন তিনি। দুই দিনের এই সফর শুরু হচ্ছে ১৩ জুন থেকে। ১৩ এবং ১৪ এই দুদিন সেখানে কাটাবেন তিনি। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে তৈনি মুখোমুখি হতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে।
কিরঘিজস্তান থেকে ফিরে এসেই আবার জুনের শেষের দিকে জি টোয়েন্টি সামিটে যোগ দিতে জাপানের ওসাকা যাবেন মোদী। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ও চীনের প্রসিডেন্ট শি জিংপিং সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠক করার কথা মোদীর। এরপরে আবার অগস্টে জি সেভেন বৈঠকে যোগ দিতে মোদী যাবেন প্যারিসে। সেখানে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েন ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক করার কথা মোদীর। নভেম্বরে আবার ব্রিকস সামিটে যোগ দিতে মোদী যাবেন ব্রাজিল এবং থাইল্যান্ডে যাবেন ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগ দিতে।