লখনউ: বিরোধী নেতা বা নেত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে অনেকেই ভাষার মাত্রা হারান। ভোটের বাজারে এবার তেমনই এক বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের রোহানিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র নারায়ন সিং।বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতীর উদ্দেশে কুমন্তব্য করেছেন তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনে জেতার পরেই মোদী বলেছিলেন, তিনি দেশের চৌকিদার। দেশকে রক্ষা করবেন। সম্প্রতি রাফাল বিতর্কের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস পালটা স্লোগান দিয়েছে, চৌকিদার চোর হ্যায়। কিন্তু মোদী ফের ম্যয় ভি চৌকিদার প্রচার শুরু করার পরে প্রায় ২০ লক্ষ টুইটে ওই হ্যাশট্যাগ যুক্ত হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে অনেকে ওই প্রচারে সাড়া দিয়েছেন। ভারতে ট্রেন্ড হয়েছে ওই টুইটার। মঙ্গলবার সকালে তার পালটা টুইট করেছেন মায়াবতী। তাতে লিখেছেন, ‘মোটেই সাদামাটা জীবনযাপন করেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী। বরং রাজা-বাদশার মতোই দিন কাটে তাঁর। তবে নিজের স্বার্থে গতবার লোকসভা নির্বাচনের সময় চা-ওয়ালা হয়ে গিয়েছিলেন। এ বার আবার নিজেকে চৌকিদার বলে প্রচার করছেন। বিজেপির আমলে দেশ সত্যিই বদলাচ্ছে। সাবাশ!’
After BJP launch 'Mai Bhi Chowkidar' campaign, PM Modi & others added the prefix 'Chowkidar' to their Twitter handles. So now Narendra Modi is Chowkidar & no more a 'Chaiwala' which he was at the time of last LS election. What a change India is witnessing under BJP rule. Bravo!
— Mayawati (@Mayawati) March 19, 2019
বিরোধী নেত্রীর মুখে মোদীর এই সমালোচনা সইতে পারেননি সুরেন্দ্র নারায়ণ সিংহ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তাই মায়াবতীকে তুলোধোনা করতে নেমে পড়েন তিনি। কিন্তু সেখানেই শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যান তিনি। রাজনীতির ময়দানে মায়াবতীর ব্যক্তিগত জীবন টেনে এনে বলেন, ‘‘মায়াবতী নিজে রোজ ফেসিয়াল করান। তা সত্ত্বেও আমাদের নেতাকে বিলাসী বলেন কোন আক্কেলে? ভাল জামাকাপড় পরা বিলাসিতা নাকি? বিলাসিতা বরং মায়াবতী-ই করেন। চুল পেকে গিয়েছে বহুদিন। অথচ কলপ লাগিয়ে আজও নিজেকে যুবতী প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। বয়স ষাট পেরিয়ে গেলেও চুল কালো করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’’
সুরেন্দ্র নারায়ণ সিংহের মন্তব্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেননি মায়াবতী। তবে এর আগেও বিজেপির অশালীন আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একটি সভায় তাঁকে ‘নারীজাতির কলঙ্ক’ বলে উল্লেখ করেন উত্তরপ্রদেশের আর এক বিজেপি বিধায়ক সাধনা সিংহ। ‘মহিলা না পুরুষ বোঝা মুশকিল’ এমনও বলতে শোনা যায় মুঘলসরাইয়ের ওই বিধায়ককে। এই মন্তব্যের জেরে সেইসময় তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করে জাতীয় মহিলা কমিশন।