#মুম্বই: দেশজুড়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে একের পর এক হিংসার ঘটনা সামনে আসছে। দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডে এক মুসলিম যুবককে চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ সঙ্গে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে জোর করা হয় তাঁকে৷ একটানা ১৮ ঘণ্টা অত্যাচারের জেরে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সি ওই যুবকের মৃত্যু হয়৷ তার আগে অসমেও প্রায় ঘটে একই ঘটনা৷ এবার ঘটনাস্থল মুম্বইয়ের থানে৷
সূত্রের খবর, ফয়জল উসমান খান নামের বছর পঁচিশের ওই যুবক অ্যাপ ক্যাবের চালক। থানের বাসিন্দা তিনি। মূলত রাতের শহরে ট্যাক্তি চালান বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিনের মতোই এ দিনও ভোর তিনটে নাগাদ তিনি থানের দিভার এলাকার একটি হাসপাতাল থেকে কয়েক জন যাত্রী নিয়ে মুম্বইয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, এই সময়ে কয়েক জন অপরিচিত ব্যক্তি এসে আচমকা তাঁর ট্যাক্সি থামায় মাঝপথে। সকলেই মদ্যপ ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ফয়জল। তাঁর দাবি, ওই লোকগুলিই তাঁর ট্যাক্সি জোর করে থামায় এবং পাল্টা তাঁকে ধমকায়, তিনি কেন মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়েছেন!
ফয়জল বলেন, “ওরা আমার গাড়ির চাবি নিয়ে নেয়। এর মধ্যে ট্যাক্সিতে থাকা এক জন যাত্রী ঝামেলা থামানোর জন্য নামলে, তাঁকেও মারধর করা শুরু করে ওই লোকগুলো। বলতে থাকে, ‘গাড়ি থামিয়েছিস কেন, বল জয় শ্রীরাম’! আমার কোনও কথায় শোনে না ওরা।” ফয়জল আরও বলেন, “এর পরে ওরা কথা কাটাকাটি থেকে হঠাৎই আমার গায়ে হাত তোলে। আচমকা আমায় মারধর শুরু করে এবং আমার ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে। ওরা বলে, আমি যদি ‘জয় শ্রীরাম’ চিৎকার করে বলি তা হলে আমায় ছেড়ে দেবে।” দায়ে পড়ে তেমনটাই করেন ফয়জল। তার পরে থানায় গিয়ে অভিযোগও দায়ের করেন।
দিভারের পুলিশ সুপার এসএস বুশ জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আইপিসি বিভাগের ২৯৫ (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত) ও ৩৯২ (ডাকাতি) ধারার অধীনে অভিযুক্ত তিন জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।