করোনা উপসর্গ: কোয়রান্টিনে পাঠানো হল ২০০০ জনকে, ঘেরা হল দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা দিল্লিতে। মার্চের গোড়াতে দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার এক মুসলিম ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা কয়েকশো ইসলাম ধর্মালম্বী। তাঁদের মধ্যে একজনের তামিলনাড়ুতে মৃত্যু হয়েছে। শরীরে করোনার উপসর্গ মিলেছিল। অনুষ্ঠানে হাজির থাকা আরও একজন অন্ধ্রপ্রদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দু’হাজার জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সকলে দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার বাসিন্দা।

করোনা-সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা দেখতে বিভিন্ন হাসপাতালে একই সঙ্গে শারীরিক পরীক্ষা চলছে  ১৭৫ জনের। দেশে এই প্রথম এত জন করোনা-সন্দেহভাজনদের একসঙ্গে নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এঁদের অনেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। সেই আশঙ্কা সত্যি হলে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে পারে অনেকটাই।

আরও পড়ুন: অমানবিক যোগীরাজ্য! পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর কেমিক্যাল স্প্রে করার ভিডিও ভাইরাল

image

দিল্লি প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি মাসের মাঝামাঝি বাংলাওয়ালি মসজিদে একটি অনুষ্ঠানের বহু মানুষের জমায়েত হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও ওই জমায়েতে আমন্ত্রিত ছিলেন মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব এবং কিরঘিজস্তানের নাগরিকেরা। ঘটনাচক্রে, ওই অনুষ্ঠানে যোগদানের পর চলতি মাসে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও তামিলনাড়ুর ওই ব্যক্তি যে করোনা-সংক্রমণের জেরেই মারা গিয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। তবে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া দুই জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। পাশাপাশি, অন্ধ্রপ্রদেশের যে ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনিও দিল্লির ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। এ ছাড়া, শ্রীনগরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে যে ধর্মগুরুর মৃত্যু হয়েছে, তিনিও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। কাশ্মীরে নিজের বাড়িতে ফেরার আগে তিনি উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দেও যান। ফলে তাঁর সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন, তারও খোঁজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

আরও পড়ুন:  মানবিক বাইচুং! লকডাউনে আটকে থাকা শ্রমিকদের আশ্রয় দিলেন নিজের বাড়িতে

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই অনুষ্ঠানের পর তাতে আমন্ত্রিত এক জন ইন্দোনেশীয় এবং সৌদি আরবের ছয় জন নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এতে যোগদানকারীদের মধ্যে বারোশো জনের মসজিদের ভিতরে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এলাকায় আর কারও করোনা-সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য মসজিদের পাশেই একটি অস্থায়ী চিকিত্সা শিবির গড়া হয়েছে।নিজামুদ্দিন এলাকা ঘিরে দিয়েছে পুলিশ।

দক্ষিণ দিল্লির ওই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার প্রায় দু’হাজার জন কোয়রান্টিনে রয়েছেন। এলাকায় পুলিশের টহলদারি ছাড়াও ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হচ্ছে, যাতে লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলেন সকলে। তবে এই নজরদারি সত্ত্বেও প্রশাসনের আশঙ্কা, অনেকেই হয়তো করোনায় আক্রান্ত। কারণ, ওই অনুষ্ঠানের পর অনেকেই সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফিরে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন: করোনার জেরে অবশেষে পিছিয়ে গেল টোকিও অলিম্পিক, সামনে এল নতুন দিনক্ষণ

Gmail 7

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest