#জামশেদপুর: নৃশংস বললেও কম বলা হয়। তিন মাসের এক শিশুকন্যাকে গণধর্ষণের পর মাথা কেটে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ঝাড়খণ্ড জেলার জামশেদপুরের এই ঘটনায় দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, তিন বছরের একটি ঘুমন্ত শিশুকে মায়ের পাশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দু’জনে মিলে ধর্ষণ করেছে। তার পর তাকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে। কেটে ফেলা হয়েছে শিশুটির মাথা। জামশেদপুরের ঘটনা। গত শুক্রবারের। পুলিশ জানাচ্ছে, জামশেদপুর রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে শুক্রবার রাতে মায়ের পাশে ঘুমোচ্ছিল শিশুটি। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মা তাঁর পাশে শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে পুলিশকে জানান। প্ল্যাটফর্মের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি এসে শিশুটিকে কোলে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশের কাছে শিশুটির মা বলেছিলেন, তার পুরুষ সঙ্গীকেই এই ঘটনায় সন্দেহ করছে সে। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া থেকে মহিলাটি তাঁর স্বামীকে ছেড়ে ওই পুরুষটির সঙ্গে জামশেদপুর চলে এসেছিলেন। পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে এমন এক জন রয়েছে যে ২০১৫ সালে একটি শিশুকে ধর্ষণের দায়ে বহু দিন জেল খেটে সদ্য বেরিয়ে এসেছে।ধৃত তিনজনের মধ্যে মহিলার ওই সঙ্গীও রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে রেলস্টেশন থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় শিশুটির মৃতদেহ প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশের দাবি, ধৃতরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে।তবে তার কাটা মুণ্ডটি এখনও পাওয়া যায়নি। স্নিফার ডগের সাহায্যে শিশুটির মাথার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। হত্যার আগে শিশুটির উপর যে নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়েছিল, তা ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে।