অনুকূল চক্রবর্তী ১৮৮৮ এর ১৪ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। জনগনের কাছে তিনি অনুকূল ঠাকুর হিসাবে সমধিক পরিচিতি লাভ করেছিলেন। অনেকেই তাঁকে শ্রী শ্রী ঠাকুর নামেও সম্বোধন করতেন। তাঁর আধ্যাত্মিক বাণী বহু মানুষকে মুগ্ধ করত। আজও সে সব সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। দেওঘরে সৎসঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ এর ২৭ জানুয়ারি তিনি পরলোক গমন করেন। ১৯৮৭ তে ভারত সরকার তাঁর নামে পোস্টেজ স্ট্যাম্প বানায়।
আরও পড়ুন: দেখে নিন স্বামী বিবেকানন্দ-এর এমন কিছু বাণী, যা আপনাকে মানসিক শক্তি দেবে
দেখে নিন ঠাকুরের ১০ অমৃত বাণী
- অশিক্ষিতকে শিক্ষা দেওয়া বরং অনেক সোজা হয়,কুশিক্ষিতদের শিক্ষক হওয়া সেটাই কঠিন কাজ সোজা নয়।
- যদি সাধনায় উন্নতি লাভ করতে চাও, তবে কপটতা ত্যাগ কর
- অমৃতময় জল কপটের নিকট তিক্ত লবনময়, তীরে যাইয়াও তার তৃষ্ণা নিবারিত হয় না।
- পরনিন্দা করাই পরের দোষ কুড়িয়ে নিয়ে নিজে কলঙ্কিত হওয়া; আর, পরের সুখ্যাতি করা অভ্যাসে নিজের স্বভাব অজ্ঞাতসারে ভালো হয়ে পড়ে। তাই বলে কোনো স্বার্থবুদ্ধি নিয়ে অন্যের সুখ্যাতি করতে নেই। সে তো তোষামোদ। সেক্ষেত্রে মন ও মুখ প্রায়ই এক থাকে না। সেটা কিন্তু বড়ই খারাপ, আর তাতে নিজের স্বাধীন মত প্রকাশের শক্তি হারিয়ে যায়।
- মাটির শরীর মাটি হবে মাটি ছাড়া নাই বিধান, মাটিরে তুই কররে খাঁটি অমৃতেরই এনে নিদান।
- কেউ যদি তোমার নিন্দা করে করুক, কিন্তু খেয়াল রেখো তোমার চলন চরিত্রে নিন্দনীয় কিছু যেন কোনো ক্রমে স্থিতিলাভ করতে না পারে, তাহলে নিন্দা ব্যর্থ হয়ে উঠবে এমনিতেই।
- কাউকে যদি বলিস কিছু সংশোধনের তরে, গোপনে তাকে বুঝিয়ে বলিস সমবেদনা ভোরে ।
- তোমার নজর যদি অন্যের কেবল খারাপটাই দেখে, তবে তুমি কখনই কাউকে ভালোবাসতে পারবেনা। আর যে সৎ দেখতে পারে না সে কখনই সৎ হয় না ।
- যার উপর যা কিছু সব দাঁড়িয়ে আছে তাই ধর্ম, আর তিনিই পরম পুরুষ। ধর্ম কখনও বহু হয় না ধর্ম একই আর তার কোনো প্রকার নেই। মত বহু হতে পারে, এমনিকি যত মানুষ তত মত হতে পারে কিন্তু তাই বলে ধর্ম বহু হতে পারে না।
- এটা খুবই সত্য কথা যে, মনে যখনই অপরের দোষ দেখবার প্রবৃত্তি এসেছে তখনই ঐ দোষ নিজের ভিতরে এসে বাসা বেধেছে। তখনই কালবিলম্ব না করে ওই পাপপ্রবৃত্তি ভেঙ্গেচুরে ঝেঁটিয়ে সাফ করে দিলে তবেই নিস্তার, নইলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: জালালউদ্দিন রুমির 30 টি অসাধারণ বাণী বদলে দিতে পারে আপনার জীবন