এক ধাক্কায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ১৯০, গত চব্বিশ ঘন্টায় আরও ৩৮ জন পজিটিভ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গেল। মঙ্গলবার নববর্ষের সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ৩৮ টি পজিটিভ কেস পাওয়া গিয়েছে বাংলায়। গতকাল সকাল ৯ টা পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৫২। তা বেড়ে হয়েছে ১৯০।

আরও পড়ুন: সন্তান জন্মের পরই করোনায় আক্রান্ত মা,বন্ধ হতে পারে মেডিক্যালের ইডেন বিল্ডিং

কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ক্রমশই জাঁকিয়ে বসছে করোনাভাইরাস। হটস্পটগুলিতে এবার ঘরে ঘরে টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। যদিও রাজ্যের মধ্যে টেস্ট করার নিরিখে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলা, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক প্রশ্ন উঠেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওই বুলেটিনে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ৩৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অর্থাৎ প্রায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ১৯ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, রাজ্যে করোনা অ্যাকটিভের সংখ্যা ১০০ পেরিয়েছে। তখনও পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ১১০ জনের দেহে সক্রিয় রয়েছে করোনার জীবাণু। মৃতের সংখ্যা বাড়েনি, সাতই রয়েছে।

আরও পড়ুন: জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি নুসরত জাহানের বাবা, আজই করোনা টেস্টের জন্য লালারস সংগ্রহ

বুলেটিন আরও বলা হয়েছিল, হাসপাতালের আইসোলেশনে এখনও পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ২২৭০ জন। এঁদের মধ্যে এখনও হাসপাতালে আছেন ৪২২ জন। কিন্তু এঁদের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা কিছু বলা নেই বুলেটিনে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের মধ্যে একটা ধন্ধ এখনও রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী বাংলায় এখন করোনা অ্যাকটিভ হওয়ার কথা ১৪৭ জন। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে ১১০ জন। অনেকের মতে, এর একটা কারণ হতে পারে যে, গত কয়েক দিনে রাজ্যে এমন কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে যাঁদের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের কো-মর্বিডিটি ছিল। নিউমোনিয়া, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা জনিত রোগে তাঁরা ভুগছিলেন। এ ধরনের ঘটনাকে রাজ্য সরকার গঠিত অডিট কমিটি করোনাভাইরাসের কারণে মৃত্যু হিসাবে বিবেচনা করছেন না। হতে পারে সেই কারণেই কেন্দ্র-রাজ্য হিসাবের মধ্যে ফারাক হচ্ছে।

আরও পড়ুন: করোনার জেরে ‘রং ফিকে’ হালখাতার, ম্লান এবারের বাংলা নববর্ষ

Gmail 1
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest