করোনা-বিপর্যয়ের জেরে দারিদ্র্যের কবলে পড়বে ভারতের ৪০ কোটি নাগরিক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: দেশের অর্থনীতি আগেই ধুঁকছিল করোনার থাবা মরার ওপর খাড়ার গায়ের মতো। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতি বড়সড়ো ধাক্কা খেতে পারে এবং বহু মানুষের চাকরি যেতে পারে বলে আশঙ্কা বহু বিশেষজ্ঞের। এবার উদ্বেগ বাড়িয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের অন্তর্গত আন্তর্জাতিক লেবর অর্গানিজশন বা আইএলও-র সতর্ক বার্তা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত ৪০ কোটি ভারতীয় শ্রমিক  দারিদ্রের গভীরে ডুবে যেতে পারে।অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বে সাড়ে ১৯ কোটি চাকরি চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে একেবারে উবে যাবে, যা গোটা পৃথিবীর মোট কাজের সময়ের ৬.৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন: ‘মাসাকলি’ ২.০ নিয়ে ক্ষুদ্ধ এ আর রহমান,বললেন- ‘আপনার কানের ক্ষতি হতে পারে’

আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন (আইএলও) তাদের রিপোর্ট ‘আইএলও মনিটর সেকেন্ড এডিশন: কোভিড- ১৯ অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক’-এ জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী সবথেকে ভয়াবহ বিশ্ব সঙ্কট। আইএলও ডিরেক্টর জেনারেল গাই রাইডার বলেছেন, ‘উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে শ্রমিক ও ব্যবসা— উভয়েই বিরাট দুর্যোগের মুখোমুখি। আমাদের একসঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। সঠিক ও জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিলে তবেই বাঁচা ও মরার মধ্যে পার্থক্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

সারা বিশ্বে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত এবং তাঁরাই বিশেষ করে বিপদের মধ্যে রয়েছেন বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। কোভিড-১৯-এর বিপদ এখনই কয়েক কোটি শ্রমিকের উপর পড়েছে বলে জানিয়েছে আইএলও।

রিপোর্টে তারা বলেছে, ‘ভারত, নাইজেরিয়া ও ব্রাজিলে লকডাউন ও অন্যান্য বাধানিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অসংগঠিত কর্মীদের সংখ্যা বিরাট। ভারতে মোট ৯০ শতাংশ কর্মীই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৪০ কোটি কর্মী এই সঙ্কটের ফলে আরও বেশি দারিদ্র্যের কবলে পড়তে পারেন। লকডাউনের ফলে এই সমস্ত শ্রমিকদের একটা বড় অংশ ইতিমধ্যেই কাজ হারিয়ে তাঁদের গ্রামে ফিরে গিয়েছেন।’

আরও পড়ুন: প্রয়োজনে টাকা ছাপিয়ে গরিবদের দিন, অর্থনীতি বাঁচাতে দাওয়াই নোবেলজয়ীর

আইএলও জানিয়েছে, গত ৭৫ বছরেরও বেশি সময়ে এটা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সামনে সবথেকে বড় পরীক্ষা। তাদের বক্তব্য, ‘যদি একটা দেশ ব্যর্থ হয়, তা হলে আমাদের সকলের পতন ঘটবে। গোটা বিশ্বের সমাজের সমস্ত ক্ষেত্রকে সাহায্য করতে আমাদের সমাধান খুঁজতেই হবে। সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা এই ভাইরাসের প্রভাব কমাতে পারব।’

আরব দেশগুলিতে ৫০ লক্ষ, ইউরোপে ১ কোটি ২০ লক্ষ এবং এশিয়া ও প্যাসিফিকে সাড়ে ১২ কোটি স্থায়ী কর্মী কাজ হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা আইএলও-র। যে সমস্ত ক্ষেত্রে চাকরি যেতে পারে সেগুলির মধ্যে রয়েছে, হোটেল, রেস্তোরাঁ, ম্যানুফাকচারিং, খুচরো ব্যবসা প্রমুখ।

সংগঠিত ক্ষেত্রেও যে ধাক্কা খুব কম হবে, এমন নয়। আইএলও-র অনুমান, সারা বিশ্বে ১২৫ কোটি মানুষ কাজ করেন এমন শিল্প কিংবা পরিষেবায়, যেখানে করোনার আক্রমণে কাজ হারানোর সম্ভাবনা প্রবল। হঠাৎ কাজ গেলে, প্রবল আর্থিক বিপর্যয়ের মুখেও পড়তে হবে তাঁদের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সব থেকে ভয়ঙ্কর সমস্যার মুখে দাঁড়িয়ে এঁদের বড় অংশকেও কাজ খোয়ানোর ধাক্কা সামলাতে হবে বলে আইএলও-র আশঙ্কা।

আরও পড়ুন: বেসরকারি ল্যাবেও বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করতে হবে, কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Gmail

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest