ওয়েব ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের জেরে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত ইটালিতে। মৃত্যুর সংখ্যায় চিনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ইউরোপের এই দেশ।প্রাণঘাতী ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব এ বার সেনার হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে আরও ৭৯৩ জন মারা গিয়েছেন। রোজ যে হারে মৃত্যুমিছিল বাড়ছে, তা শেষপর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা ভেবে সন্দিহান ইতালি সরকার। ইউরোপের এই দেশটির ভয়াবহ অবস্থা দেখে, বাকি বিশ্বও আতঙ্কিত।
আরও পড়ুন: Janata Curfew: আজকের পদক্ষেপ আগামীদিনে সাহায্য করবে, সাত সকালে টুইট মোদীর
ইটালির লোম্বার্ডি অঞ্চলে পরিসংখ্যান সবচেয়ে ভয়াবহ। শুধু সেখানেই ২,৫৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২২,২৬৪। এদিকে, স্পেনেও মারাত্মক জায়গায় চলে গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছুঁয়েছে। জার্মানিতে কারফিউ আরও কয়েক দিন বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে সে দেশের প্রশাসন। ব্রিটেন সরকার লন্ডনে লক ডাউনের চিন্তাভাবনা করছে বলে সূত্রের খবর।
কোভিড ১৯ সংক্রমণের আশঙ্কা কার কতটা সেটা এখনও সঠিকভাবে বলতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিচার করে এবং ভাইরাস আক্রান্তদের পরিসংখ্যান যাচাই করে যা জানা গেছে, সেই তথ্য কিছু কম ভয়ঙ্কর নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) আগেই সতর্ক করেছিল, গোটা বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীদের মতও একই। করোনার কোপ সবচেয়ে বেশি পড়ছে পুরুষদের উপরেই। সমীক্ষা বলছে বিশ্বজুড়ে সংক্রামিতদের বেশিরভাগই পুরুষ। মহিলাও আছে, তবে সংখ্যাটা তুলনামূলকভাবে কম। চমকে দেওয়ার মতো বিষয় হল, ইতালিতে করোনা আক্রান্ত ও মৃতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই পুরুষ।
আরও পড়ুন: নিয়ম ভাঙছেন তারকারাই! এবার কোয়ারেন্টাইন নির্দেশিকা না মেনে রাষ্ট্রপতি ভবনে মেরি কম
ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ডেটা অনুযায়ী নতুন মৃত ৮২৭ জনের মধ্যে ৮০% পুরুষ ও ২০% মহিলা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, পুরুষদের সিওভিআইডি-১৯ আক্রান্ত হওয়ার একটা মূল কারণ হতে পারে অতিরিক্ত নেশা। সিগারেট, অ্যালকোহলের কারণে ফুসফুস, পাকস্থলীর প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই তলানিতে এসে ঠেকে। তার উপর ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সেটা রোখার আর ক্ষমতা থাকে না।
ইতালিতে ২৫ শতাংশ পুরুষই ধূমপান ও অ্যালকোহলের নেশায় মহিলাদের থেকে অনেক এগিয়ে। মহিলাদের সংখ্যা সেখানে ১৫ শতাংশ। বিজ্ঞানীদের অনুমান, অতিরিক্ত নেশা, অসংযমী জীবনযাপনের কারণেও এই সংক্রমণ পুরুষদের মধ্যে মাত্রা ছাড়াতে পারে। তা ছাড়া হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের কারণেও সংক্রমণের হার অধিক। সার্স ও মার্স যখন মহামারী হয়েছিল বিশ্বে, সে সময়েও পুরুষদের আক্রান্ত হওয়ার হার ছিল অধিক।