মাসিক আয় মেরেকেটে ১৪,০০০ টাকা বলে দাবি করেছিলেন বৃদ্ধা। ৮০ বছরের সেই বৃদ্ধার সুইস ব্যাঙ্কে মিলল ১৯৬ কোটি টাকা! একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে তা সামনে এসেছে। এখন এই বৃদ্ধাকে কর তো দিতেই হবে, উপরন্তু জরিমানাও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপেলেট ট্রাইব্রুনাল (আইটিএটি)।
রেণু থারানি নামে ওই বৃদ্ধার এইচএসবিসি জেনেভায় অ্যাকাউন্ট ছিল। সুইস ব্যাঙ্কে থারানি ফ্যামিলি ট্রাস্টের একমাত্র উপভোক্তা ছিলেন তিনি। ২০০৪ সালের জুলাইয়ে কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের জি ডব্লুউ ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের নামে সেই ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট খোলা হয়েছিল। সেই সংস্থার প্রশাসক হিসেবে পারিবারিক ট্রাস্টে অর্থ ট্রান্সফার করে দিয়েছিলেন বৃদ্ধা।
আরও পড়ুন : আপাতত শুধু জুনের টাকা দিলেই চলবে, বিদ্যুতের বিল নিয়ে বড় ঘোষণা CESC’র, জানুন…
২০০৫-০৬ সালে যে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (আইটি রিটার্ন) ফাইল করেছিলেন, তাতে সেই তথ্য গোপন করে গিয়েছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর ফের মামলার ফাইল খোলা হয়। এরইমধ্যে হলফনামা পেশ করে ওই বৃদ্ধা দাবি করেন, এইচএসবিসি জেনেভায় তাঁর অ্যাকাউন্ট ছিল না। জি ডব্লুউ ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের শেয়ারহোল্ডার বা অধিকর্তা পদেও ছিলেন না। নিজেকে অনাবাসী বলে দাবি করে জানান, যদি কোনও অর্থও থাকে, সেজন্য তাঁর থেকে কর নেওয়া যাবে না।
২০০৫-০৬ সালের আইটি রিটার্নে বৃদ্ধা দাবি করেছিলেন, তাঁর বার্ষিক আয় ১.৭ লাখ। তিনি বেঙ্গালুরুর ঠিকানা দিয়েছিলেন এবং ভারতের করদাতা হিসেবে দাবি করেন। আইটিএটির বেঞ্চ অবশ্য জানায়, তিনি হয়তো অনাবাসী তকমার প্রথম বছরে ছিলেন।
কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে কীভাবে তিনি প্রায় ২০০ কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করলেন, সেই উৎস খুঁজে বের করা যায়নি। বেঞ্চ জানায়, বৃদ্ধা পরিচিত মুখও নন বা তিনি কোনও চ্যারিটি চালান না যে তাঁকে এত পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে বেজায় চাপে বৃদ্ধা। পুরো ব্যাপারটির পিছনে বৃদ্ধা ছাড়া অন্য কারও মাথা আছে কিনা তাও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন : মাধ্যমিক উত্তীর্ণকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ,অগ্নিগর্ভ চোপড়া