মুম্বই: একসময় বলিউড দাপিয়েছেন। অভিনয় গুনে মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। কিন্তু এখন পেটের ভাত জোগাতে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতে হয় ‘গুলাল’, ‘পাতিয়ালা হাউস’ ‘বেয়াকুফিয়া’ খ্যাত অভিনেতা সাভি সিধুকে।
কথায় আছে ‘আজ যে রাজা,কাল সে ফকির ৷’এই প্রবাদটি যে কতোটা সত্যি, বারবার প্রমাণ হয় ৷ আর বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তো এই কথাটি ভীষণভাবে প্রযোজ্য ৷ কখনও কেউ অল্প চেষ্টাতেই স্টারডামের শিখরে পৌঁছে যান, তো কখনও কেউ প্রচুর চেষ্টার পরেও সাফল্যে অর্জন করেন না ৷ যেমনটা হয়েছে বলিউড অভিনেতা সাভি সিধুর জীবনে ৷ বলিউডে রাজত্ব করার চোখ দুটোতে এখন শুধুই কান্না ৷সম্প্রতি ফিল্মি কানেকশন ইউটিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ৷ যেখানে সাভি সিধুর জীবনের কাহিনি উঠে এসেছে ৷
সাভি সিধুর অভিনয় জীবনের শুরুটা হয়েছিল চণ্ডীগড় থেকে। লখনউ-তে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে চণ্ডীগড়ে গ্র্যাজুয়েশন করতে করতে মডেলিংয়ের অফার আসে সাভি সিধুর কাছে। পরে ফের আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে আবারও লখনউতে ফিরে যান তিনি। সাভি জানিয়েছিলেন অভিনয়ের ইচ্ছা তাঁর ছোট থেকেই ছিল। তাঁর ভাই এয়ার ইন্ডিয়াতে চাকরি পেতেই সাভি সিধুর মুম্বইতে আসা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। মুম্বইতে এসে স্ট্রাগল করা শুরু করেন সাভি। প্রথমে পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের ‘পাঁচ’ ছবিতে অভিনয় করে সাভি সিধু। যদিও সেই ছবিটি মুক্তি পায়নি। পরে ফের পরিচালক তাঁকে। ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’-তে নেন। সেই ছবিতে কমিশনার শর্মার চরিত্রে অভিনয় করেন সাভি। পরে ‘গুলাল’ ছবিতেও কাজ করেন তিনি। পরবর্তীকালে ‘যশ রাজ ফিল্মস’-এর ছবিতে, সুভাষ ঘাইয়ের ছবিতে এমনকি নিখিল আডবাণী পাতিয়ালা হাউস ছবিতেও কাজ করেন সাভি সিধু।
তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলে যায়। সাভি সিধুর কথায়, তিনি যে বলিউডে কাজ পাননি তেমনটা নয়। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কাজ ছাড়তে হয়। কাজ ছাড়ার পর সাভির জীবনে অর্থনৈতিক সঙ্কটও তৈরি হয়। সাভি সিধুর কথায়, সবথেকে খারাপ সময় তৈরি হয়, যখন তিনি তাঁর স্ত্রীকে হারান। পরবর্তীকালে মা ও বাবা দুজনকেই হারা সাভি। ধীরে ধীরে আরও একা হয়ে যান এই প্রতিভাবান অভিনেতা। এখন তাঁর কাছে এমন পয়সাও নেই, যে তিনি কোনও প্রযোজক, পরিচালকের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে পারেন। বর্তমানে একটি অ্যাপার্টমেন্টে ১২ ঘণ্টার নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন সিধু। এখনও তিনি আশা ছাড়েননি ৷ এখন তাঁর দু’চোখ জুড়ে স্বপ্ন-ফের বলিউড থেকে ডাক আসবে, একটা ভাল চরিত্র করার ৷