শপথ নেওয়ার ৩ দিন পরেই পদত্যাগ করলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরি। বৃহস্পতিবার পটনায় মু্খ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফা দেন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মেওয়ালাল।
তিন বছর আগে একটি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মেওয়ালাল ৷ তাকে কেন মন্ত্রী করা হল, এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিল প্রধান বিরোধী দল আরজেডি ৷
আরও পড়ুন: হাওড়া ব্রিজে মিনিবাসে বিধ্বংসী আগুন
নীতীশের অস্বস্তি আরও বেড়েছে কারণ তারাপুরের এই বিধায়ক তাঁর নিজের দল জেডিইউ-এরই৷ ২০১৭ সালে ভাগলপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন সহকারী অধ্যাপক এবং জুনিয়র সায়েন্টিস্ট পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে মেওয়ালালের বিরুদ্ধে৷ সেই সময় কিছুদিনের জন্য তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ডও করা হয়৷
প্রাথমিক তদন্তের পরে তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ (৪০৯), জালিয়াতি (৪২০), অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০-বি)-সহ ভারতীয় দণ্ডিবিধির একাধিক ধারায় মামলাও রুজু হয়েছিল। সে সময় মেওয়ালালের গ্রেফতারির দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির পরিষদীয় নেতা সুশীল মোদী।
সে সময় গ্রেফতারি এড়াতে মেওয়ালাল গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু বেশি দিন সেই শাস্তি বহাল থাকেনি। এ বারের ভোটেও দলের টিকিট পেয়ে বিধায়ক হন মেওয়ালাল। ভোটে জিতে প্রথম বার মন্ত্রীও হয়েছিলেন।
মেওয়ালালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার প্রসঙ্গ তুলে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বুধবার টুইটারে লেখেন, ‘একজন পলাতক অপরাধীকে রাজ্যের মন্ত্রী করা হল’।
নবনির্মীত বিহার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে ১৬৭ জন সহকারি অধ্যাপক, জুনিয়র সায়েন্টিস্ট এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সেই মামলায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল ৫০-এরও বেশি। সেই মামলার তদন্ত এখনও চলছে। মেওয়ালালের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তিরও অভিযোগ উঠেছিল।
আরও পড়ুন: সিবিআই তদন্ত শুরু করতে রাজ্যের সম্মতি বাধ্যতামূলক, রায় দিল শীর্ষ আদালত