পুরসভা ভোটের দিন কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। মার্চ মাসের মধ্যেই রাজ্যের পুরভোট মিটিয়ে ফেলতে চায় নির্বাচন কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টকে দুটি দিনের কথা জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২২ জানুয়ারি এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি এই দুই দিন রাজ্যের পুরসভা ভোট করানো হবে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission) হলফনামায় জানায়, মোট দু’দফায় ভোট করানো সম্ভব। প্রথম দফায় ভোট হবে ২২ জানুয়ারি। দ্বিতীয় দফায় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে ভোটাভুটি। প্রথম দফায় বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি, হাওড়ার ভোট হবে। দ্বিতীয় দফায় বাকি সমস্ত পুরভোট করার ভাবনা।
আরও পড়ুন: Gangasagar: এবারেও গঙ্গাসাগরে ডুব স্নান অধরা! ড্রোনের মাধ্যমে আকাশ থেকে বর্ষাবে গঙ্গাজল
সামনের বছরের মার্চ এবং এপ্রিলে রয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই ভোটের দিনক্ষণ স্থির করার ক্ষেত্রে সে বিষয়টি মাথায় রেখেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এছাড়া প্রথম দফায় যে ৬টি পুরসভায় ভোট করার কথা ভাবা হয়েছে, সেক্ষেত্রে ইভিএমের (EVM) কোনও প্রতুলতা হবে না বলেও হলফনামায় উল্লেখ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
তবে হাওড়া এবং বালি পুরসভার ভোট এই দুই দিনে হবে না বলে জানানো হয়েছে। কারণ হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিলে এখনও স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। এই নিয়ে প্রবল জটিলতা তৈরি হয়েছে। কলকাতা পুরসভা ভোটের সঙ্গে এবার হাওড়া পুর ভোট না হওয়ায় সরব শাসকদল। বিশেষ করে হাওড়া পুরভোটের দেরী হওয়ার জন্য রাজ্যপালকে দায়ী করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়।বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অভিযোগ, হাওড়া থেকে বালি পুরসভা আলাদা করার জন্য বিলে রাজ্যপাল সই করেছেন। আর সেই কারণেই হাওড়ায় ভোট করানো সম্ভব হচ্ছে না। অধ্যক্ষ আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি যদি একরাতের মধ্যে তিনটি কৃষি বিল সই করতে পারেন, তবে রাজ্যপাল কী উদ্দেশ্য নিয়ে এটাকে আটকে রেখেছেন। সূত্রের খবর, বিল অনুমোদনের জন্য তিনবার তা রাজভবনে পাঠানো হলেও সই করেননি রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: রাজ্যের বাধায় পৌষমেলা করা যায়নি! উপাচার্যের মন্তব্যে ফের রাজ্য-বিশ্বভারতী সংঘাত