বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের জন্যও ‘আরোগ্য সেতু’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক, নজরদারির অভিযোগে সরব রাহুল-ওয়েইসি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: তৃতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের জন্য আরোগ্য সেতু অ্যাপের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি কর্মীদের জন্য যদিও আগেই এই অ্যাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এ বার বেসরকারি কর্মীদের জন্য তা বাধ্যতামূলক হল। সমস্ত কর্মী এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন কি না, তা সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই নিশ্চিত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর পাশাপাশি, কোভিড-১৯ কনটেনমেন্ট জোনে যে সমস্ত মানুষ রয়েছেন, তাঁদের জন্যও এই অ্যাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে তাঁদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো যায়। কনটেনমেন্ট এলাকায় আরোগ্য সেতু অ্যাপের ১০০ শতাংশ কভারেজ স্থানীয় প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

করোনা আক্রান্তদের উপর নজরদারি চালাতে এ বছর এপ্রিলের শুরুতে আরোগ্য সেতু অ্যাপটি সামনে আনে কেন্দ্রীয় সরকার।  ব্লুটুথ এবং জিপিএস-এর মাধ্যমে অ্যাপ ব্যবহারকারীর গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গুগল প্লে স্টোর এবং আইফোনে অ্যাপল স্টোরে গিয়ে Aarogya Setu লিখে সার্চ করলেই অ্যাপটি পাওয়া যাবে। তা ডাউনলোড করে নিলেই হবে। এত দিন রাজনৈতিক স্তরে এর ব্যাপক ব্যবহার চোখে পড়লেও, এ বার সরকারি ও বেসরকারি কর্মী এবং কনটেনমেন্ট এলাকার বাসিন্দাদের জন্য তা বাধ্যতামূলক করা হল। তবে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের জন্য এখনও তা করা হয়নি।

আরও পড়ুন: কেমন করে কাটতে হবে শ্রমিক ট্রেনের টিকিট, জেনে নিন নয়া নির্দেশিকা

তবে জিপিএস-এর মাধ্যমে নজরদারি চালানো এই অ্যাপ নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এতে সাধারণ মানুষের গোপনীয় তথ্য হাতছাড়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইটারে লেখেন, ‘আরোগ্য সেতু অ্যাপ আসলে এমন উন্নতমানের নজরদারি ব্যবস্থা যার পরিচালন ভার কোনও প্রাতিষ্ঠানিক লাগাম ছাড়াই বেসরকারি ক্ষেত্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ থাকছে। প্রযুক্তি আমাদের নিরাপদ রাখে ঠিকই। কিন্তু ভয়কে ব্যবহার করে নাগরিকদের অনুমতি ছাড়াই তাঁদের উপর চালানো উচিত নয়।’ একই অভিযোগ তুলেছিলেন এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

যদিও নীতি আয়োগের তরফে দাবি করা হয়েছে, জিপিএস-এর মাধ্যমে নতুন হটস্পট খুঁজে বার করতে সুবিধা হবে।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘গোপনীয়তা লঙ্ঘনের বিষয়ই নেই। তথ্যও দিতে হয় না। শুধুমাত্র কাশি, সর্দি বা পজিটিভ হলে তবে ফর্ম পূরণ করতে হয়।’ যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, অ্যাপে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত তথ্য চাওয়া হয়। বিতর্ক থামার আগে সরকারের এই সিদ্ধান্ত ফেরাল পুরোনো সন্দেহ।

আরও পড়ুন: সুখবরের অপেক্ষায়! এই প্রথম বেবি বাম্প নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন কোয়েল, দেখুন ছবি

Gmail 4

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest