Site icon The News Nest

‘দিল্লির হিংসার জন্য আগে ক্ষমা চান’, অমিতকে পালটা তোপ অভিষেকের

AVISEK

ওয়েব ডেস্ক: শহিদ মিনারের সমাবেশ থেকে রবিবার দুপুরে নাম না করে শানানো আক্রমণ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অমিত শাহকে ফিরিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি তুললেন, পশ্চিমবঙ্গে ভাষণ দেওয়ার আগে দিল্লি হিংসার জন্য ক্ষমতা চাইতে হবে অমিত শাহকে।

শহীদ মিনারে বিজেপির সভা থেকে অমিত শাহ বলেন, মমতা দেশের আইনের বিরোধিতা করছেন। মোদীজি সিএএ এনেছেন। পাকিস্তান, বাংলাদেশ,আফগানিস্থানের সংখ্যালঘুদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মমতাকে প্রশ্ন করতে চাই, ওইসব দেশ থেকে আসা শরনার্থীদের কেন আপন মনে হয় না আপনার? কেন অনুপ্রবেশকারীদেরই আপনার আপন বলে মনে হয়? সাফ বলছি, শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দিয়েই ছাড়ব। মমতা আমাদের রুখতে পারবেন না। আপনি সিএএ-র বিরোধিতা করছেন মানে হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুরের বিরোধিতা করছেন। সত্তর বছর ধরে সমস্যায় থাকা এইসব মানুষদের নাগরিকত্ব দিয়েই ছাড়ব।

আরও পড়ুন: এবার ‘গোলি মারো’ স্লোগান কলকাতার বিজেপি কর্মীদের মুখে, উত্তেজনা রাজপথে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন তাঁর বক্তব্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কও নিশান করেন। বলেন, এবার বাংলায় আর কোনও শাহাজাদাকে মুখ্যমন্ত্রী হতে দেওয়া যাবে না। বাংলার মাটি থেকেই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হবে। সিএএ আইন হওয়ার পর বাংলায় দাঙ্গা হয়েছে। মমতা করিয়েছেন।

শাহর সভা শেষ হতেই টুইটারে সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করেন, রাজ্যে এসে সরকারকে জ্ঞাণ দেওয়ার পরিবর্তে আপনার ব্যাখা করা উচিত কীভাবে আপনার নাকের ডগায় পঞ্চাশ জনের প্রাণ গেল। মানুষের কাছে এর জন্য ক্ষমা চান। অমিত শাহ, বিজেপির বিভেদ ও ঘৃণা ছড়ানোর রাজনীতি সত্বেও পশ্চিমবঙ্গ ভালো রয়েছে।

তাত্‍‌পর্যপূর্ণভাবে এ দিনের সভায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করে অমিত শাহ নানা কথা বললেও, সাম্প্রতিক দিল্লি হিংসা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি।

গত এক সপ্তাহ হরে দিল্লির ভয়াবহ পরিবেশ দেখেছে সারা দেশ। এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরেও রাজধানীর হিংসা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। রবিবারও তিনটি দেহ উদ্ধার হয়েছে উত্তর-পূর্ব দিল্লি থেকে। এদিন অভিষেক সেই ইস্যুতেই আক্রমণ শানান অমিত শাহকে।

আরও পড়ুন: CAA লাগু করেই ছাড়ব, শহীদ মিনারের সভায় হুঁশিয়ারি শাহের

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি নেতারা প্রায়ই বলেন বাংলায় আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। অমিত শাহের বিরুদ্ধে সেই দাবি না তুললেও যুব তৃণমূল সভাপতি বোঝাতে চান, দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব অমিত শাহের দফতরেরই। তাই দিল্লির দায় তাঁকে নিতে হবে। জবাবও দিতে হবে তাঁকেই।

 

Exit mobile version