বিদ্রোহীদের হত্যা বন্ধ কর, বলল রাষ্ট্রসংঘ, মিয়ানমারে একদিনেই নিহত ৩৮

স্থানীয় সূত্রের খবর, শুধুমাত্র ইয়াঙ্গনেই মৃত্যু হয়েছে সাতজনের।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়ে একদিনেই নিহত হয়েছেন ৩৮ জন। জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর গতকালই সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণহানী ঘটেছে। সেক্ষেত্রে গতকাল ছিল মিয়ানমারে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন।

গতকাল মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে লোকজন বিক্ষোভে নামলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর তাজা গুলি ছোঁড়ে। এর মধ্যে সাবেক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে সকালের দিকে মারা গেছেন অন্তত আট জন এবং বিকেলে মারা গেছেন সাতজন।

আরও পড়ুন:বাংলার বাঘিনী মমতার পাশে দাঁড়ান, বার্তা দিয়ে বঙ্গ ভোটে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত উদ্ভবের

ব্রিটিশ এনজিও ‘সেইভ দ্যা চিলড্রেন’ জানিয়েছে, গতকালের হত্যাকাণ্ডের মধ্যে চারটি শিশুও রয়েছে। মিয়ানমারের গণমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল বিভিন্ন শহর থেওেক শত শত মানুষকে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, শুধুমাত্র ইয়াঙ্গনেই মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন। মনওয়ায় ছজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি মৃত্যুর খবর এসেছে মান্দালয়, মিঙগিয়ান শহরগুলি থেকে। রক্ত ভেসে যাচ্ছে শহরগুলি। এ প্রসঙ্গে মায়ানমারে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূত ক্রিশ্চিন স্কেরানের বারজানের জানিয়েছেন, “সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এটাই সবচেয়ে বীভৎস রক্তক্ষয়ী দিন। একদিনে ৩৮ জনের মৃত্যু হল। ইতিমধ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে।”

রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূত আরও জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ডেপুটি সেনাপ্রধান সু উইনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেনা দমন-পীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, এখনই এই বর্বরোচিত কার্যকলাপ বন্ধ না করলে বহু দেশে মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। জবাবে সেনার পদস্থ কর্তা সাফ জানিয়েছে দিয়েছেন, এই ধরণের হুঁশিয়ারিতে তাঁরা অভ্যস্ত। সম্পর্ক ছিন্ন করলেও মিয়ানমারের কোনও ক্ষতি হবে না। এর থেকে স্পষ্ট, মিয়ানমারের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে মরিয়া সেনা। কোনওভাবেই তাঁর পিছু হঠবে না। প্রয়োজনে আরও মানুষকে হত্যা করতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এই সপ্তাহেই আটক গৃহবন্দি নোবেলজয়ী নেত্রী সু চি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও দু’টি নতুন ধারায় অভিযোগ আনার পরে এটাই ছিল প্রথম হাজিরা। তবে তাঁকে কবে মুক্তি দেওয়া হবে, তার সদুত্তর নেই কারওর কাছেই। এই পরিস্থিতিতে জুন্টার কাছে আটক সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। মায়ানমারের সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতে আগামী শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক ডেকেছে ব্রিটেন। অবিলম্বে সেনাকে যাবতীয় অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারিরও দাবি উঠেছে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে উঠল হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ, স্বস্তিতে রাজ্য সরকার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest