পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে আফগানিস্তান থেকে ফিরছে দাম্ভিক মার্কিন সেনা

আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এর মাধ্যমে একটি অন্তহীন যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ফিরতেই হল। ফিরতেই হয়। আফগানরা ছেড়ে দেয় না। রাশিয়াকেও ফিরতে হয়েছিল। ওদের সম্পদ স্বাধীনতা। তার সঙ্গে ওরা আপোষ করে না। আফগনিস্তানের মৃত্যু উপত্যকা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দাম্ভিক সামরিক শক্তিধর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের পশ্চিমা মিত্ররা।

দীর্ঘ দু’দশক ধরে ‘অন্তহীন’ যুদ্ধ চালিয়ে, আণবিক বোমা ছাড়া সব রকমের আধিনুক মারণাস্ত্র- যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়াযান, কামান, বন্দুক, মেরিন সেনা, কমব্যাট ফোর্স- সব কিছু ব্যবহার করে, হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে, বিস্তীর্ণ জনপদ, পার্বত্য অঞ্চল ধ্বংস করে দিয়ে এবার পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ফিরে যাচ্ছে পর্যুদস্ত, ভগ্ন-হৃদয় দখলদার সেনার দল।

আরও পড়ুন : বিচ্ছেদের পর বিল-মেলিন্ডার বিপুল সম্পত্তি ভাগ নিয়ে জল্পনা

১ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী। রবিবার (২ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে আফগান সেনাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে যুদ্ধবিধস্ত দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দের প্রদেশে অবস্থিত মার্কিন সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান ঘাঁটি ক্যাম্প এন্থনিক।

আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এর মাধ্যমে একটি অন্তহীন যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের ভেতরে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে বলে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি সীমাহীন যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন।

তবে পরাজিত সৈন্যদের এবং মার্কিন জনগণের মনোবল চাঙ্গা রাখতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরও দেশটিতে মার্কিন উপস্থিতি বজায় থাকবে।

তবে পরাজিত সৈন্যদের এবং মার্কিন জনগণের মনোবল চাঙ্গা রাখতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরও দেশটিতে মার্কিন উপস্থিতি বজায় থাকবে।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সদম্ভে বলেছেন,’আমরা ২০ বছর ধরে আফগান যুদ্ধে লেগে আছি এবং মাঝেমধ্যে আমরা ভুলে যাই কেন আমরা সেখানে প্রথমে গিয়েছিলাম। যারা নাইন ইলেভেনের হামলায় জড়িত তাদেরকে উৎখাতের জন্য আমরা আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়েছিলাম। গত ২০ বছর ধরে আমরা সেখানে এ কাজই করেছি। এখন আফগানিস্তান থেকে সেনারা দেশে ফেরত যাচ্ছে তার মানে এই না যে, আমরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমরা আফগানিস্তান ছাড়বো না।’

তিনি তার ভাষায় বলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য আমেরিকা অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

ব্লিংকেন বলেন, তালেবান যদি আবার ক্ষমতা দখল করে তাহলে আমাদের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

এ অবস্থায় আফগানিস্তানের কাবুল থেকে দূতাবাস কর্মীদের ফিরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে সেখানে দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হবে না। খুব সামান্য কর্মীকে রেখে কাজ চালানো হবে। তাদের নিরাপত্তার জন্য কিছু সেনা থাকবে।

আরও পড়ুন : ইসলামী সংগঠন আনসার ইন্টারন্যাশনালকে নিষিদ্ধ করল জার্মানি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest