বাইডেনকেও পাত্তা দিচ্ছেন না নেতানিয়াহু, নির্লজ্জ মানব হত্যার মাধ্যমে বাড়াতে চাইছেন জনপ্রিয়তা

নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে নগ্ন সমর্থন দেওয়ায় ভেতরে-বাইরে সবদিক দিয়েই চাপ বাড়ছে বাইডেন প্রশাসনের ওপর।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের চাপ ছিল শুরু থেকেই। গত বুধবার এই তালিকায় যোগ হয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তবে চতুর্মুখী এই চাপকে পাত্তা না নিয়েই গাজায় ‘চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

গাজায় সাম্প্রতিক সংঘাত শুরুর পর গত ১১ দিনের মধ্যে কমপক্ষে তিনবার টেলিফোনে কথা হয়েছে বাইডেন ও নেতানিয়াহুর। বুধবার বাইডেন বলেছেন, তিনি দুই-একদিনের মধ্যেই উত্তেজনা ব্যাপকভাবে কমে গিয়ে যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি হওয়ার আশা করছেন।

আরও পড়ুন : Narada Scam: ‘তদন্ত শেষ বলেই তো চার্জশিট, তবে কেন গ্রেফতার?’ হাই কোর্টে যুক্তি টিম-সিঙ্ঘভির

নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে নগ্ন সমর্থন দেওয়ায় ভেতরে-বাইরে সবদিক দিয়েই চাপ বাড়ছে বাইডেন প্রশাসনের ওপর। এই সংঘাত বন্ধে কার্যকর ও সময়োপযোগী কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে।
এর মধ্যে বুধবার হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নির্দোষ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলের ওপর জোর দিয়েছেন  বাইডেন। বাইডেন এবং নেতানিয়াহু গাজায় হামাস এবং অন্য ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর’ বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অগ্রগতি নিয়েও কথঅ বলেছেন।

তবে বাইডেনের এই আহ্বানে কান না দিয়ে হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথার বলার কয়েক ঘণ্টা পরেই তিনি বলেছেন, চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত হামলা চালিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর ইসরায়েল।

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত অন্তত ২২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৪ শিশু ও ৩৮ নারীও রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ। ঘরছাড়া হয়েছেন অন্তত ৫৮ হাজার ফিলিস্তিনি।

এমনিতেই নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা তলানিতে। বহু কষ্টে তিনি অন্তর্বর্তী সরকার গড়েছেন। এখন তিনি চাইছেন ইসরাইলি আম জনতার পূর্ণ সমর্থন। একমাত্র নিরীহ ফিলিস্তিনি মেরে সে কাজ সহজে হবে বলে মনে করছেন তিনি। সে কারণেই তার এমন জেদ। সে কারণেই এমন অকারণ মানব হত্যা। মনে করছেন অনেকেই।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest