অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বিগত ৬০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে শহরটির পশ্চিমের ক্ষতিগ্রস্ত আরও কয়েক হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। পাশাপাশি আগামী আরও কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও সতর্কবার্তা দিচ্ছে।
গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসে (এনএসডাব্লিউ) নদীগুলো পানিতে ভরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। পানির দ্রুত প্রবাহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। এছাড়া মানুষের চলাফেরাসহ অন্যান্য সমস্যাও প্রকট। খবর রয়টার্সের।
আরও পড়ুন :১০ লাখি সুট অতীত! বাংলাদেশ সফরে ‘মুজিব জ্যাকেটে’ সাজবেন নমো
এ অবস্থায় রোববার সিডনির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক হাজার লোককে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেই সতর্কবার্তায় এরইমধ্যে অনেকে বাড়িঘর ছেড়েছেনও। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয় মিলনায়তনে প্রায় দেড়শ’ মানুষ শনিবার রাতেই আশ্রয় নিয়েছেন। দাবানলের সময়ও এটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়েছিল।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্যের নিম্নাঞ্চল থেকে প্রায় ১৮ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এরইমধ্যে। এছাড়া আরও কয়েক হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের নিজেদের প্রস্তুত করা দরকার। এটি একটি খুব কঠিন সপ্তাহ হবে।অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেশটির ব্যুরো অব আবহাওয়া বিজ্ঞানের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ জোনাথন হাউ বলেন, এটি কেবল বৃষ্টিপাতই নয়, এটি ধ্বংসাত্মক ঘটনারও কারণ। এটি তীব্র বাতাসও বটে।
প্রবল বৃষ্টিপাত নিউ সাউথ ওয়েলসের বিশাল অংশকে নিমজ্জিত করে ফেলেছে। অথচ একবছর আগেও একই অঞ্চলে আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে একেবারে বিপরীত ছিল। যখন কর্তৃপক্ষ লড়াই করেছিল খরা এবং বিপর্যয়কর দাবানলের সঙ্গে।বেরেজিক্লিয়ান বলেন, আমি এমন কোনো রাজ্যের ইতিহাস জানি না, যেখানে মহামারির মধ্যে এমন চরম আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
সিডনির পশ্চিমাঞ্চলীয় কিছু অঞ্চলে ১৯৬১ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে।কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছে, তারা আশঙ্কা করছেন, এমন কঠিন আবহাওয়া পরিস্থিতি আগামী বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন : আরও এক গিনেস রেকর্ডের হাতছানি, বাংলাদেশের রাজপথে আঁকা হল বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা