ইসরাইলের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা গাজায়, রাস্তায় রাস্তায় ‘বিজয়োল্লাস’

মিশর বলেছে, সংঘর্ষবিরতি যাতে লঙ্ঘন না হয়, তা নজরে রাখতে দুই দিকেই প্রতিনিধি দল পাঠাবে তারা। এদিকে ইজরায়েল-হামাস শান্তি চুক্তির প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গাজা উপত্যকায় স্থানীয় সময় রাত ২টো (দেশের সময় ভোর ৪.৩০ মিনিট) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। টানা ১১ দিন ধরে তাণ্ডব চালানোর পর মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। এ ঘোষণার পর রাস্তায় নেমে উল্লাস করতে থাকেন গাজার জনগণ। এ যুদ্ধবিরতিকে নিজেদের বিজয় বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে ঘোষণা আসার পর হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ জানায়, স্থানীয় সময় রাত ২টো থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এরপরই নিরাপদ আশ্রয় থেকে বের হয়ে এসে উল্লাস করতে থাকেন ফিলিস্তিনিরা।যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর গাজা এবং ফিলিস্তিনের রাস্তায় নেমে হাজার হাজার মানুষকে উল্লাস করতে দেখা যায়। এ সময় তারা ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শন করেন এবং বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। এছাড়া এ সময় গাজার মসজিদ থেকে মাইকে আল্লাহর প্রশংসাসূচক বক্তব্যও শোনা যায়।

আরও পড়ুন :  ‘ববিকে জেল থেকে বের করে নিয়ে আসার দায়িত্ব আমার’, নবান্ন থেকে ফিরে ফিরহাদের বাড়িতে হাজির মমতা

জনগণের সামনে বক্তব্য দিতে গিয়ে গাজায় থাকা হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতা খলিল আল-হাইয়া বলেন, ‘এটা জয়ের উচ্ছাস।’ এ সময় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পুনর্নিমাণের ঘোষণাও দেন তিনি।

gaza 2 20210521091615

১১ দিনে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৬৫ জন শিশুসহ অন্তত ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদিকে ফিলিস্তিনি বাহিনীর পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন দুই শিশুসহ মোট ১২ জন।

মিশর বলেছে, সংঘর্ষবিরতি যাতে লঙ্ঘন না হয়, তা নজরে রাখতে দুই দিকেই প্রতিনিধি দল পাঠাবে তারা। এদিকে ইজরায়েল-হামাস শান্তি চুক্তির প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে এই সংঘর্ষ চলাকালীন ইসরাইলি সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর বিরুদ্ধে চাপ বাড়াচ্ছিল আমেরিকা।

এই আবহে সংঘর্ষবিরতি স্থির হওয়ায় বাইডেন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনিদের সমান অধিকার রয়েছে বেঁচে থাকার। তাছাড়া স্বাধীনতা, উন্নতি এবং গণতন্ত্রের অধিকারও দুই দেশের নাগরিকদের সমান। আমার প্রশাসন শেষ পর্যন্ত কূটনৈতিক মধ্যস্থতা চালিয়ে যাবে দুই দেশে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে।’

আরও পড়ুন : মঙ্গলের প্রথম ছবি পাঠাল চীনা রোভার ‘ঝুরং’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest