তারাবির নামাজের জন্য বিক্ষোভ, চাপে সব বাধা সরিয়ে নিল ইসরাইল

রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর অবশেষে জেরুজালেমে তারাবি নামাজ পড়ার অনুমতি পেল সেখানকার বাসিন্দারা।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর অবশেষে জেরুজালেমে তারাবি নামাজ পড়ার অনুমতি পেল সেখানকার বাসিন্দারা। বিক্ষোভের মুখে রোববার দামাস্কাস গেট থেকে সব ধরনের বাধা সরিয়ে নেয় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, তারাবি নামাজ পড়ার জন্য গত দুই সপ্তাহ স্থানটিতে বিক্ষোভ করছিল মুসল্লিরা। বিভিন্ন ইসলামি নেতারাও স্থানটি খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান। এরপর নামাজের জন্য স্থানটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেন জেরুজালেমের পুলিশ কমিশনার।

এ ঘোষণার পর উল্লাসে ফেটে পড়েন মুসলিমরা। রমজান মাসে তারাবি আদায়ে পূর্ব জেরুজালেমের সবচেয়ে জনপ্রিয় এলাকা এটি। তবে শুরু থেকেই এতে বাধা সৃষ্টি করছে ইহুদি জনগোষ্ঠী। নামাজ আদায় করতে না দেওয়ায় গত তিন দিন বিক্ষোভে উত্তাল ছিল এলাকাটি।

আরও পড়ুন: প্রিয় কুকুরের কারণে ঘোষিত হল সরকারি ছুটি,জেনে নিন কোথায়

বিক্ষোভ ছড়ায় পশ্চিম তীরসহ অন্যান্য শহরেও। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় জেরুজালেমের দামেস্ক গেট এলাকা। ডয়েচে ভেলে এ খবর জানায়। প্রসঙ্গত, বছরের পর বছর ধরে পবিত্র রমজান এলেই জেরুজালেমের দামাস্কাস গেটে জড়ো হন ফিলিস্তিনের মুসলিমরা। সেহরি, ইফতার কিংবা তারাবির পাশাপাশি সেখানে জড়ো হয়ে ইবাদত বন্দেগী করেন তারা। কিন্তু দখলদার খুনী ইহুদিবাদী দেশ ইসরাইল দখলে নিয়েছে ফিলিস্তিনের ভূমি। এরপর গতবছর দামাস্কাস গেটের সামনে রমজান পালন বন্ধ করে দেয় তারা।

চলতি বছরেও দামাস্কাস গেটের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল পুলিশ। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। শুরু হয় প্রতিবাদ। দামাস্কাস গেট পূর্ব জেরুজালেমের ইসরাইল জোরপূর্বক দখল করা এলাকার মধ্যে পড়ে। রমজানের শুরু থেকেই মানুষ সেখানে প্রার্থনা করতে গিয়ে বাধা পান। সংঘর্ষ শুরু হয় খুনী ইসরাইলী পুলিশের সঙ্গে। প্রতিবাদ শুরু হয় গাজাতেও। উত্তেজনা বাড়তে থাকে পশ্চিম তীরে। মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু থাকেন।

ইসরাইলের বর্বর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। লাঠি চালায় নির্বিচারে। প্রচুর বিক্ষোভকারীকে বন্দীও করে। কিন্তু নবীপ্রেমে মশগুল মুসল্লিরা বিক্ষোভ থামাননি। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বাজি পুড়িয়েও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। গাজায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিক্ষুব্ধরা।

অবশেষে রোববার বাধ্য হয়ে দামাস্কাস গেটের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় খুনী ইসরাইলী পুলিশ। এরপর প্রচুর মানুষ দামাস্কাস গেটের সামনে জড়ো হয়ে ইবাদত-বন্দেগী শুরু করেন। এবার উত্তেজনা কমবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আনাদোলু এজেন্সি।

আরও পড়ুন: ডিম পাড়ছে না মুরগি, মেজাজ হারিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ ব্যক্তি!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest