আরএসএস-বিজেপি যোগ! টিম থেকে সোনাল শাহ এবং অমিত জানিকে ছেঁটে ফেললেন বাইডেন

বাইডেনের নতুন টিমে অবশ্য কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত ৩ জনকে রাখা হয়েছে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আরএসএস এবং বিজেপির সঙ্গে যোগ থাকলে তাদের প্রশাসনে ঠাঁই হবে না। অমিত জানি এবং সোনাল শাহকে প্রশাসনিক টিম থেকে বাদ সেই বার্তা দিলেন বাইডেন ও কমলা হ্যারিস। সোনাল এবং অমিত দুজনেই বাইডেনের হয়ে ভোট প্রচারে কাজে করেছেন। কিন্তু বিজেপি-আরএসএসের সঙ্গে তাঁদের যোগের খবর পেতেই দ্রুত বাইডেনের প্রশাসনিক টিম থেকে তাঁদের ছেঁটে ফেলা হয়েছে।

এমন খবরে বিজেপির লোকেরা যে মর্মাহত হবে, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। কিন্তু কোনও আপস না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুঝিয়ে দিলেন, ট্রাম্প জমানার ‘বিদ্বেষের’ দিন শেষ। প্রসঙ্গত ট্রাম্পকে আরএসএস পন্থীরা পছন্দ করেন। তাদের এই পছন্দের কারণ হল উভয়েই মুসলিমদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে। সে কারণেই ট্রাম্পের জয়ের জন্য সংঘপন্থীরা একসময় যজ্ঞ পর্যন্ত করেছিল।

আরও পড়ুন : সন্তান নিতে না চাইলে মিলনের পূর্বে যে সমস্ত প্রস্তুতি অবশ্যই নেওয়া প্রয়োজন…

সোনাল শাহ এবং অমিত জানির প্রতি কোনও সহানুভূতি দেখতে রাজি নন বাইডেন -হ্যারিস প্রশাসন। যদিও তারা ভোটে বাইডেনের হয়ে খুবই খেটেছেন। দা ট্রিবিউন জানিয়েছে, সোনাল শাহ বাইডেনের ইউনিটি টাস্ক ফোর্সে কাজ করেছেন। তাঁর বাবা মার্কিনমুলুকে বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। উনি বিজেপির প্রবাসী বন্ধু। তাছাড়া আরএসএস পরিচালিত একাল বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সোনাল নিজেও সংঘ পরিচালিত এই স্কুলের জন্য টাকা তুলেছেন বলে জানা গিয়েছে।

বাইডেনের নতুন টিমে অবশ্য কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত ৩ জনকে রাখা হয়েছে। উজরা জিয়া,সামিরা ফাজলি এবং আইসা শাহ রয়েছেন বাইডেনের কূটনৈতিক টিমে। জিয়াকে সিভিল সিকিউরিটির আন্ডার সেক্রেটারি হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি দেখবেন ডেমোক্রেসি এবং হিউম্যান রাইট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির প্রতিবাদ তিনি 2018 তে ফরেন সার্ভিস থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।

ছবিতে হিজাব পরিহিতা ফাজলি,মোদী সরকারের সিএসএস ও এনআরসির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল প্রতিবাদ করেছিলেন। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারেরও তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন উনি। বর্তমানে তাঁর কর্মস্থল হোয়াইট হাউস। ন্যাশনাল ইকোনোমিক কাউন্সিলের ডেপুটি ডিরেক্টর পদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

অমিত জানিকেও ন্যাশনাল এশিয়ান এন্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার ডিরেক্টর পদে পুনর্নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে যখন জানা যায় যে, তাঁর পরিবারের সঙ্গে পিএম মোদীর ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে, তখন অমিতকে বাইডেনের টিম থেকে বাদ দেওয়া হয়।

বাইডেনকে তড়িঘড়ি স্বাগত জানালেও ট্রাম্প জমানায় মোদীর ভূমিকা ভালো চোখে দেখেনি বাইডেনের দল। মোদী ট্রাম্পের হয়ে প্রচারে বলেছিলেন, ‘আব কি বার, ট্রাম্প সরকার।’ একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে তাঁর এমন আচরণকে বহু মার্কিনি ভালোচোখে দেখেনি। এটিকে অনেকেই মোদীর ধ্বংসাত্মক কূটনীতি বলে উল্লেখ করেছেন।

হ্যারিসের সঙ্গেও ভারতের যোগ রয়েছে। তাঁর মা ছিলেন ভারতীয়। বরাবর তিনি স্পষ্ট কথা বলতে পছন্দ করেন। ৩৭০ রদ করার পর যখন কাশ্মীরিদের বলপূর্বক লকডাউনে থাকেত বাধ্য করা হয়েছিল, তখন প্রতিবাদ করেছিলেন হ্যারিস। কাশ্মীরিদের সাহস জুগিয়েছিলেন। 2019 এর টাইম ম্যাগাজিনের October সংখ্যায় ছাপা হয়েছিল তাঁর সেই মন্তব্য। যাতে তিনি লিখেছিলেন , ‘আমি আপনাদের মনে করিয়ে  চাই যে, আপনারা এই বিশ্বে একা নন।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘পরিস্থিতি চাইলে কিংবা প্রয়োজন পড়লে হস্তক্ষেপ করতে হবে।’

আরও পড়ুন: নিমন্ত্রিত নন গোবিন্দা ও বচ্চন পরিবার! বরুণ-নাতাশার বিয়ের অতিথি লিস্টে কারা?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest