Site icon The News Nest

হিংসার মিয়ানমারে এবার নিষিদ্ধ স্যাটেলাইট টেলিভিশন প্রচার

mynamar tv

মিয়ানমারের সামরিক সরকার স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাইরের দেশের টেলিভিশন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ, এমন কারণ দেখিয়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এমআরটিভিতে জানানো হয়, ‘স্যাটেলাইট টেলিভিশন আর বৈধ নয়। যারা টেলিভিশন ও ভিডিও আইন ভঙ্গ করবে, বিশেষ করে স্যাটেলাইট ডিশ ব্যবহারকারীরা, তাদেরকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ কিয়াত (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭ হাজার টাকা) জরিমানা করা হবে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘অবৈধ প্রচারমাধ্যমগুলো এমন সংবাদ সম্প্রচার করছে যা জাতীয় সুরক্ষা, আইনের শাসন এবং গণ-শৃঙ্খলাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের উত্সাহিত করে।’

এর আগে জান্তা সরকার মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যমগুলো বন্ধ করে তাদের অনেক সাংবাদিককে আটক করেছে। প্রায় ৫০ জন সাংবাদিক বর্তমানে আটক রয়েছেন।

আরও পড়ুন : উইঘুর নিপীড়ন :চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ইইউ -এর, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীনও।

এদিকে মিয়ানমারে এক জাপানি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সোমবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতমাসে সাংবাদিক ইউকি কিতাজুমিকে দ্বিতীয়বারের মতো আটক করার পর এবার মামলা দেয়া হলো।

মিয়ানমারে গণঅভ্যুত্থানের পর এই প্রথম কোনো বিদেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হলো। এর আগে পোল্যান্ডের এক ফটোগ্রাফারকে মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রায় দুই সপ্তাহ হাজতে রাখার পর তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে
দেওয়া হয়।

কিতাজুমির মুক্তির জন্য জাপানের তরফ থেকে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেয়া হচ্ছে। মিয়ানমারের অন্যতম বৃহৎ দাতা দেশ জাপান।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি বর্তমানে যুক্তরাজ্য সফরে আছেন। সেখানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জাপানের যে সাংবাদিককে আটক রাখা হয়েছে তার দ্রুত মুক্তির জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।’ জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভশন এনএইচকে এ তথ্য জানিয়েছে।

মিয়ানমারে মঙ্গলবারও অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। মান্দালয়তে বিক্ষোভকারীরা শিক্ষা সেক্টরের কর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করেছে। জুনে যখন স্কুল-কলেজ খোলা হবে তখন তা বয়কট করা আহ্বান জানান তারা।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পার্সেল বোমা বিস্ফোরিত হয়ে মঙ্গলবার পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে অভ্যুত্থানের সময় উৎখাত হওয়া একজন আইন-প্রণেতা ও তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন যারা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী অং সান সুচির দলের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই দেশটিতে চরম অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত ৭৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তবুও নিয়মিত বিক্ষোভ করে চলেছেন অভ্যুত্থানবিরোধীরা।

আরও পড়ুন : ইসলামী সংগঠন আনসার ইন্টারন্যাশনালকে নিষিদ্ধ করল জার্মানি

Exit mobile version