পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট, ফের নির্বাচন নেপালে

নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। আগামী নভেম্বরে তিনি দেশটির সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে নেপালে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট শুরু হলো।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। আগামী নভেম্বরে তিনি দেশটির সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে নেপালে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট শুরু হলো।

নেপালে রাজনৈতিক সংকটের শুরু গত বছরে। গত ২০ ডিসেম্বর দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি হঠাৎ করে দেশটির নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দেন। কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, এরপর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। আদালত বলেন, এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক।

আরও পড়ুন : স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র সমাধান : বাইডেন

এরপর প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি গতকাল শুক্রবার রাত ২টার দিকে আকস্মিকভাবে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি কিংবা বিরোধী নেতা শের বাহাদুর দেউবা—কেউই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেননি। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ১২ নভেম্বর প্রথম ধাপের এবং ১৯ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান কে পি শর্মা ওলির মন্ত্রিসভার সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলো কোনো মন্তব্য করেনি। নেপালে এমন সময়ে এই রাজনৈতিক সংকট শুরু হলো যখন দেশটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ভুগছে।

সম্প্রতি সংসদের আস্থাভোটে পরাজিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তারপর থেকেই নেপালে (Nepal) তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। পরবর্তী সরকার গড়া নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গড়তে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন নেপালি কংগ্রেসের নেতা শেরবাহাদুর দেউবা। কিন্তু নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ‘প্রচণ্ড’ ওরফে পুষ্পকমল দহলের সমর্থন পেলেও জনতা সমাজবাদী পার্টির সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন তিনি।

প্রসঙ্গত, সংসদে নেপালি কংগ্রেসের ৬১ এবং প্রচণ্ডের দলের ৪৯ জন সদস্য ছিলেন। তবে এদের সম্মিলিত ১১০টি আসন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। ২৭৫ আসন বিশিষ্ট নেপালি সংসদে বর্তমানে ২৭১ জন সদস্য রয়েছেন। ফলে ম্যাজিক ফিগার ছিল ১৩৬। ওলকে সমর্থন জানান ১২১ জন সদস্য। কিন্তু সংসদ ভঙ্গ হয়ে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় আপাতত এই সমীকরণ অর্থহীন।

আরও পড়ুন : Black Fungus Death in Kolkata: রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে প্রথম মৃত্যু!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest