আমাদের দেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বেল পেপার। এ নামে অবশ্য খুব বেশি মানুষ এটিকে চিনবে না। কিন্তু যদি ক্যাপসিকাম বা সিমলা মরিচ বলা হয় তাহলে সবাই চিনবেন। মরিচ নাম হলেও একটি আসলে একটি সবজি। মাছ, মাংস, সবজি, সালাদ—সবকিছুতেই এর ব্যবহার রয়েছে। সবুজ, লাল ও হলুদ রঙ সহ বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম এখন কিনতে পাওয়া যায় কাঁচাবাজার ও সুপারশপগুলোয়। তবে একটু চেষ্টা করলে বারান্দা কিংবা ছাদের টবে খুব সহজেই বেল পেপার বা ক্যাপসিকাম চাষ করা যায়।
চাষপদ্ধতি
ঝুরঝুরে বেলে দোআঁশ মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযুক্ত। যদিও সব মৌসুমেই ক্যাপসিকাম চাষ সম্ভব, তবে ভাদ্র ও মাঘ মাসে বীজ বপন করলে ভালো ফলনের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
নার্সারি থেকে ক্যাপসিকামের ভালো বীজ কিনে আনতে হবে। সারারাত বীজ জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
মোটামুটি বড় আকারের টব নিতে হবে, সিমেন্টের বস্তাতেও লাগাতে পারেন।
আরও পড়ুন: এই শীতে বাড়িতে টবেই চাষ করতে পারেন স্ট্রবেরি! জেনে নিন খুঁটিনাটি
মাটির সঙ্গে বেশ ভালো পরিমাণ জৈব সার মিশিয়ে নিতে হবে। জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গোবর সার। বেশ খানিকটা গর্ত করে করে বীজ পুতে দিন।
তবে চারা একটু বড় হলে তার সঙ্গে খুঁটি দিয়ে দিতে হবে যাতে গাছ হেলে না পড়ে।
ক্যাপসিকাম গাছে নানা ধরনের পোকা হতে পারে, যে পোকায় গাছের ক্ষতি হতে পারে। তাই তার হাত থেকে বাঁচার জন্য জলের মধ্যে সাবান গুঁড়ো মিশিয়ে তা পাতার মধ্যে স্প্রে করুন।
ছোট ছোট চারা বেরোনোর দুমাস পর থেকেই গাছে ফল ধরবে এবং তা আপনার খাবার উপযুক্ত হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: World Environment Day 2020: ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে রাখুন এই সব গাছ…