কলকাতা: কয়েকদিন পরেই শবেবরাত। এদিন মৃত আত্মীদের জন্য কবরস্থানে প্রার্থনা করেন মুসিলমরা। ফলে মানুষের সমাগম হয় প্রচুর। সন্ধের পর বহু লোক কবরস্থান হাজির হন জিয়ারতের জন্য। কলকাতার প্রতিটি কবরস্থানেই একই চিত্র দেখা যায় প্রতি বছর। সেকথা মাথায় রেখে এবার শবেবরাতের দিন রাজ্যের সব কবরস্থান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মুসলিম বেরিয়াল বোর্ড। রাজ্য বেরিয়াল বোর্ডের আশঙ্কা কবরস্থানে বহু মানুষের ভীড় হতে পারে। তাই রাজ্যের সব কবরস্থান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: এবার করোনায় আক্রান্ত ‘কামা সূত্র’-র মায়া, ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে জানালেন নিজেই
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গোটা দেশেই লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।উদ্দেশ্য, করোনা রোগী যেন কারও সংস্পর্শ আসতে পারে। এরকম এক অবস্থায় কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাতে কোনও রকম জমায়েত না হয় তার জন্য সজাগ প্রশাসন।
পার্সি শব্দ ‘শবে’ মানে রাত, আরবি শব্দ ‘বরাত’ অর্থে নিষ্কৃতি পাওয়া। খারাপ কিছু থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে শবে বরাতে রাতভর মসজিদ, কবরস্থানে গিয়ে প্রার্থনা করেন মানুষ। মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, নিয়ম মেনে চলবেন। আগামী বৃহস্পতিবার শবে বরাত। তার পর পয়ালা বৈশাখ আসবে। উৎসব আসবে, উৎসব যাবে। আপনাদের ভালর জন্যই বলছি, ঘরে থেকে প্রার্থনা করুন।”
আরও পড়ুন: Super Pink Moon 2020- দেখুন সেরা ছবি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে
একই অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি এ দিন বলেন, “বাড়িতে শবে বরাত পালন করুন। প্রিয়জনের আত্মার শান্তি কামনা করুন। লকডাউনে সামাজিক দূরত্বের সময় সবাই মিলে একসঙ্গে যদি বাইরে বেরিয়ে যাই, তা হলে সমস্যা হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “অন্তত এ বছরটা নিয়ম মেনে চলুন। কবরস্থানে না গিয়ে, প্রিয়জনের জন্য বাড়িতেই প্রার্থনা করুন। এখন এক জনের থেকে অন্য জনের করোনা হচ্ছে। ফলে আমাদের সুরক্ষিত থাকতে হবে। বাড়িতে থাকতে হবে। আমরা যদি সতর্ক না হই, তা হলে পরিবারে ছড়িয়ে পড়বে। পাড়ায় ছড়িয়ে পড়বে। আমরা সবাই সচেতন হলে করোনাভাইরাসকে হারাতে পারব।”
যদিও প্রশ্ন উঠছে কলকাতা শহরে কবরস্থানগুলিতে গেট থাকায় সেগুলি বন্ধ করা গেলেও রাজ্যের বাকি কবরস্থানে কি হবে? রাজ্য বেরিয়াল বোর্ডের সদস্য ইস্তাক আহমেদ জানিয়েছেন, ” প্রত্যেক জেলাতেই আলাদা করে মানুষকে আগে থেকেই জানানো হয়েছে। বিভিন্ন মসজিদে যারা প্রধান তাদের মানুষকে সচেতন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনার বলি ১৩, নতুন করে আক্রান্ত ৫০৮ জন