ঢাকা: বাংলাদেশে করোনার দাপট বাড়ার কারণে মুক্তি দেওয়া হল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।২৫ মাস কারাগারে থাকার পর আজ বুধবার মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: করিনাকে অশ্লীল অপমান, তৈমুরের ধর্ম নিয়ে কুৎসিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন অর্জুন
২৫ মাস আগে গুলশানের যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন খালেদা জিয়া, অবশেষে বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় সেই ফিরোজায় পৌঁছলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিকাল পৌনে সাড়ে চারটার সময় মুক্তির পর তাঁকে বাড়ি যান পরিবারের সদস্যরা। এই সময় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা তাঁর গাড়ি ঘিরে পায়ে হেঁটে এগিয়ে যান। রাস্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাঁকে নিরাপদে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেন।
গাড়িতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন সেলিমা ইসলাম। এর আগে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর মুক্তির আবেদন করা হয়েছিল। বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হয়ে আইনমন্ত্রকে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করেন এবং মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তির অনুরোধ জানান। তার কিছুদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী ক্ষমতা বলে খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য সাজা মুলতবি রেখে মুক্তির নির্দেশ দেন।তবে তিনি বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না। এই শর্তে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই কাবুলের গুরুদ্বারে বন্দুকবাজের হামলা, মৃত কমপক্ষে ২৭
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। সেখান থেকেই তাঁকে পুরনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি করা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তাঁর আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
ওই বছরেরই ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: করোনার থাবা ব্রিটেনের রাজপরিবারেও, আইসোলেশনে রয়েছেন আক্রান্ত প্রিন্স চার্লস