মৃত্যুর জল্পনার মাঝেই দেখা মিলল কিম জং উনের ব্যক্তিগত ট্রেনের! বাড়ছে ধোঁয়াশা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়াশিংটন: গতকালই হংকং টিভি দাবি করেছিল, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন (Kim Jong Un) প্রয়াত। কিন্তু এরই মাঝে আবার স্যাটেলাইট ইমেজে উঠে আসছে অন্য তথ্য।

এক সপ্তাহ ধরে এমন সব জল্পনাকল্পনা নতুন মাত্রা পেল উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ ট্রেনটিকে চলতি সপ্তাহের দু’টি দিনে একটি রিসর্ট শহর উনসানের বিশেষ একটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখায়। উপগ্রহের ছবিতে তা ধরা পড়েছে বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়ার উপর নজর রাখে ওয়াশিংটনের এমনটি সংগঠন ‘থার্টিএইট নর্থ’।

246138 kim death2

শনিবার থার্টিএইট নর্থ-এর একটি রিপোর্ট জানিয়েছে, কিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যাওয়া-আসা করেন যে বিশেষ ট্রেনে, গত ২১ এবং ২৩ এপ্রিল সেটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলবর্তী রিসর্ট শহর উনসানের ‘লিডারশিপ স্টেশন’-এ। শুধু প্রেসিডেন্ট আর তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ওঠা-নামার জন্যই এই স্টেশনে ট্রেন থামে। যদিও সেই ট্রেনে কিম ছিলেন কি না বা তিনি উনসানেই আছেন কি না, সে ব্যাপারে কিন্তু নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: প্রয়াত কিম জং উন! মৃতদেহের ছবি দেখিয়ে জানাল হংকং টিভি

থার্টিএইট নর্থ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে মানে যে কিম তাতে আছেন বা তা থেকে ওঠা-নামা করেছেন, তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। এর থেকে বলা যায় না কিমের শরীর-স্বাস্থ্যের কথাও। তবে কিম উনসানে থাকতে পারেন যেটা রটেছে, এই তথ্যকে তার সমর্থনে পেশ করা যেতে পারে।’’  

কিমের ওই উনসান কমপ্লেক্সে নয়টি বড়সড় গেস্ট হাউস রয়েছে। মাঠের ঠিক মাঝখানেই রয়েছে বিশালাকার একটি বিল্ডিং, যা ২০১৪ সালে কিম ক্ষমতায় আসার পরেই তড়িঘড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল। এ ছাড়াও বিলাসবহুল এই রিসর্টে রয়েছে একটি সংরক্ষিত বন্দর, শুটিং রেঞ্জ, রিক্রিয়েশন বিল্ডিং এবং রয়েছে একটি ডকও। যা কিমের মেগা ইয়াচের জন্যই মূলত ব্যবহৃত হয়। ঠিক সামনাসামনি যে রেলওয়ে স্টেশনটি অর্থাৎ লিডারশিপ স্টেশন-এর লাগোয়া একটি রানওয়েও রয়েছে। ছোটখাটো এয়ারক্রাফ্টগুলি সেখানেই নামে এবং থাকেও এখানেই। তবে গত বছরই এই রানওয়কে ‘হর্স রাইডিং ট্র্যাক’ বানানো হয়। কিমের নতুন শখের অন্যতম একটি হল এখন ঘোড়া চড়ানো।

দিন কয়েক আগেই কিম জং-উনের অসুস্থতার খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সর্বত্র। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ওয়েব পোর্টাল জানিয়েছিল, হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের পর সঙ্কটজনক অবস্থায় একটি রিসর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সেখানে পরিবার-পরিজন রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। একটি চিকিৎসক দলের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। গত ১১ এপ্রিলের পর উত্তর কোরিয়ার কোনও সরকারি সংবাদমাধ্যমেই কিমের ছবি বা ভাষণ প্রকাশিত হয়নি। তাঁর শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের কোনও সংবাদমাধ্যমকেই মুখ খুলতে দেখা যায়নি। গত ১৫ এপ্রিল উত্তর কোরিয়ার জন্মদিবসেও কোনও অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি কিমকে।

সেই সময়ও পিয়ংইয়ংয়ের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সিওলের তরফে যদিও সেই রিপোর্ট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়। প্রেসিডেন্টের বাসভবন ব্লু হাউসের বিশেষ সূত্র জানায়, অস্ত্রোপচার হলেও কিমের অবস্থা সঙ্কটজনক নয়। এও জানায়, চিন চিকিৎসকদের একটি দল পাঠিয়েছে পিয়ংইয়ংয়ে।

তার পরই কিম জংয়ের ‘মৃত্যুসংবাদ’ সামনে আসে শনিবার। হংকংয়ের একটি টিভি চ্যানেলে উত্তর কোরিয়ার শাসকের মৃত্যুর খবর সম্প্রচারিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিমের মৃতদেহের ছবি বলে একটি পোস্টও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। কিন্তু সেটি আদতে তাঁর বাবা কিম জং ইলের শেষযাত্রার ছবি বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: সূর্যালোক শরীরে ঢুকিয়েই বধ করা যাবে করোনা! ট্রাম্পের পরামর্শে হতবাক বিজ্ঞানীরা

Gmail 3
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest