লকডাউন ভেঙে অ্যাপক্যাবে যুগল, আটকানোয় পুলিশের গায়ে লালা-লিপস্টিক লাগিয়ে দিলেন তরুণী!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: গোটা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। যা কিনা অলিখিত কারফিউ বলে জানিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। যদিও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাজারে বেরোতেই হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরিতে পুলিশকে বিভিন্ন জায়গায় কঠোর হতেও দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যাতায়াত, হোম ডেলিভারি না আটকাতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, অনেকের কাছেই বাইরে বেরোনোর কোনও জুতসই কারণ অবশ্য থাকছে না বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন:  ভারতে করোনার শিকার ১২: মধ্যপ্রদেশে প্রথম করোনার বলি ৬০ বছরের বৃদ্ধ, আক্রান্ত ছাড়াল ৬০০

বুধবার লকডাউন রুখতে পথে নেমে বিকট পরিস্থিতির মুখে পড়লেন বিধাননগর পুলিশের এক আধিকারিক। গাড়ি আটকানোয় তাঁর উর্দি চেটে দিলেন এক তরুণী। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগরের পিএনবি মোড়ে। ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনবেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সল্টলেকের পিএনবি মোড়ে রুটিন নাকা চলছিল। সেই সময়ে একটি ছোট গাড়ি সল্টলেকের দিকে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ গাড়িটি আটকায়। গাড়ির গায়ে উবরের স্টিকার ছিল। ভিতরে ছিলেন এক তরুণী এবং এক যুবক। পুলিশ গাড়িটি আটকে প্রথমে চালককে প্রশ্ন করে, কেন তিনি আরোহী-সহ বাইরে বেরিয়েছেন? পুলিশের দাবি, ওই চালক দাবি করেন গাড়ির আরোহী ওষুধ কেনার জন্য বেরিয়েছেন। অভিযোগ, পুলিশ কর্মীরা গাড়িচালক এবং আরোহীদের কাছ থেকে ওযুধের প্রেসক্রিপশন চাইলে তাঁরা তা দেখাতে পারেননি।এর পরেই গাড়ির আরোহী তরুণীর সঙ্গে পুলিশকর্মীদের তর্ক শুরু হয়।

আরও পড়ুন: চেনা জায়গায় নয়, করোনায় মৃতদের দাহ বা কবরের জন্য নয়া স্থান বাছল কলকাতা পুরসভা

সেই সময় গাড়ির ভিতর থেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন ওই মহিলা। পরে গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের দিকে তেড়ে যান তিনি। পুলিশ কর্মীরা তাঁকে দূরে থাকার কথা বললেও শোনেননি। বরং ছুটে এসে ওই তরুণী তাঁর ঠোঁটের লিপস্টিকও পুলিশ অফিসারের উর্দিতে ঘষে দেন বলে অভিযোগ পুলিশের। লিপস্টিকেররং লেগে যায় পুলিশ আধিকারিকের উর্দিতে। গোটা ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় উপস্থিত কর্মীরা। তারপর তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। যদিও তরুণীর বন্ধুটির দাবি, তারা ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন। অবশ্য প্রেসক্রিপশন চাইলে তারা তা দেখাতে পারেননি বলেই দাবি পুলিশের।

Gmail 6

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest