ভার্চুয়াল জনসভা থেকে মমতাকে উৎখাতের হুংকার শাহের, দেখে নিন কী বললেন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ভার্চুয়াল জনসভা থেকে ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাতের ডাক দিলেন অমিত শাহ। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিধানসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে এই সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। মঙ্গলবার সেই সভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে দাবি করে পরিবর্তনের ডাক দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

‘জনসংবাদ র‌্যালি’ থেকে এ রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করলেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়ে, নিজের বক্তৃতায় রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেছেন অমিত।

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। আয়ুষ্মান ভারত-সহ নানা প্রকল্পের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকার অসহযোগিতা করছে বলেও অভিযোগ তাঁর। সেইসঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগেও তৃণমূলকে বিঁধেছেন তিনি। গত ৬ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের হিসাব দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের থেকেও গত ১০ বছরের কাজের হিসাব চেয়েছেন অমিত শাহ।

আরও পড়ুন : ‘পরিযায়ীদের চিহ্নিত করে ১৫ দিনের মধ্যে বাড়ি ফেরান’ কেন্দ্র-রাজ্যগুলিকে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

দেশের পরিস্থিতি যাই হোক রাজনৈতিক নেতারা ভোট ছাড়া কিছু বোঝে না।
তাদের চায় আরও ক্ষমতা। যদিও দেশের অধিকাংশ রাজ্য আজ বিজেপির দখলে। সেখানে যে বলার মত উন্নয়ন হয়েছে সে কথা ঘর গেরুয়া নেতাও বুক ঠুকে বলতে আমতা আমতা করেন। তারপরও অমিত শাহ বাংলায় সোনা ফলিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন।

এক নজরে দেখে নিন কী বললেন শাহ-

. করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আমফানে মৃতদের শ্রদ্ধার্ঘ।
২. পশ্চিমবঙ্গে ১০০-র বেশি শহিদ কর্মী পরিবারকে সেলাম। আপনাদের ত্যাগের সোনার বাংলা গড়ায় বড় ভুমিকা নেবে।
. করোনা যোদ্ধাদের সেলাম জানাই।
করোনা আক্রান্তদের শুভকামনা। দ্রুত সেরে উঠুন।
৪.৩০৩টি আসনের মধ্যে আমার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দেশের ১৮টি আসন।
.পশ্চিমবঙ্গই দেশে একমাত্র জায়গা যেখানে রাজনীতিক হিংসা হয়। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক হিসাকে রাজ্যের সীমানার বাইরে রেখে আসবে।
. শুধু পশ্চিমবঙ্গে নিজের সংগঠন তৈরি করতে আসেনি। প্রথাগত বাংলা, সোনার বাংলা বানাতে চায় বিজেপি।
.আমরা সেই সব দল নই যারা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও অন্যের ওপর দোষারোপ করে। আমরা ক্ষমতায় পেলে পরিবর্তন করি।
.মোদী জি জনপ্রিয় হয়ে যাবেন এই ভয়ে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে লাগু করতে দেন না মমতা। আমার তাঁকে প্রশ্ন, গরিবের কি চিকিৎসা করানোর অধিকার নেই? এই সরকার গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে।
. ভারত সরকার প্রত্যেক কৃষককে ৬,০০০ টাকা করে দিতে তৈরি। কিন্তু কৃষকদের টাকা দিতে চাই তালিকা দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজনীতির সীমা থাকা উচিত।
১০. অরবিন্দ কেজরিওয়ালও অয়ুষ্মান ভারত মেনে নিয়েছে। ভোট হতে দিন। মুখ্যমন্ত্রীর শপথের ১ মিনিটের মধ্যে আয়ুষ্মান ভারত পশ্চিমবঙ্গে চালু হবে।
১১. মমতা দিদি আমার কাছে আমাদের হিসাব আছে। কাল সাংবাদিক বৈঠক করে আপনার হিসাব দিন। বোম বিস্ফোরণের হিসাব দেবেন না। বন্ধ কারখানার হিসাব দেবে না। মৃত বিজেপি কর্মীদের হিসাব দেবেন না।
১২. CAA যেদিন পাশ হয় সেদিন আমি সেদিন মমতার মুখ দেখেছি। ওর মুখ থেকে শব্দ বেরোচ্ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমার প্রশ্ন. মতুয়া সমাজের মানুষরা আপনার কী ক্ষতি হয়েছে। নমঃশুদ্র, বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যক্তিরা কী ক্ষতি হয়েছে। তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করছেন কেন? আপনার জানানো উচিত। ভোটবাক্স খুললে দেখবেন মানুষ আপনাকে রাজনৈতিক শ্মরণার্থী করবে।
১৩.রাজনীতির লড়াই চলবে। কেন বাংলার সাইক্লোন বিধ্বস্ত কৃষকদের বঞ্চিত করবেন। কৃষকদের তালিকা পাঠিয়ে দেন। শনিবার তালিকা দিলে সোমবার টাকা পাঠিয়ে দেব।
১৪. পশ্চিমবঙ্গের মানুষের হাতে ১১,০০০ কোটি টাকা তুলে দিয়েছে বিজেপি সরকার।
১৫. মমতা দি বলেন, আমরা চালাতে পারছি না তো আপনারা সামলান। আমাদের যা দেওয়ার কথা দিয়েছি। আপনার ইচ্ছা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খুব তাড়াতাড়ি পূরণ হবে।
১৬. পশ্চিমবঙ্গ সব থেকে কম ট্রেন চালিয়েছে। ২৩৬ ট্রেনে ৩ লক্ষ মানুষ এসেছেন। আমরা শ্রমিক ট্রেন নাম দিয়েছিলাম। মমতা দিদি করোনা এক্সপ্রেস বলে উল্লেখ করেছেন। আপনি যা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বাইরে পাঠানোর এক্সপ্রেস হয়ে উঠবে।
১৭.কমিউনিস্টদের শাসনের থেকেও খারাপ শাসন দিয়েছেন মমতা।
মমতার বিরুদ্ধে কলম ধরায় সাংবাদিকদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আমফান করোনার মধ্যেও দুর্নীতি হয়েছে।

আরও পড়ুন : গুজরাতে ঘোড়া কেনাবেচার চেনা ভয়! ১৯ বিধায়ককে রাজস্থানের রিসর্টে সরাল কংগ্রেস

Gmail 1
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest