লকডাউনের বাজারে বাড়ির মাসিক বিদ্যুৎ পরিষেবা বিল এসেছে ২১,১৪০ টাকা। সিইএসসি-র কাণ্ড দেখে মাথায় হাত অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার।
করোনা সংক্রমণের জেরে গত মার্চ মাসের শেষ থেকে দেশব্যাপী লকডাউন জারি হয়েছে। এর ফলে অধিকাংশ পেশাদারই বাড়িবন্দী হয়ে রয়েছেন। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে বাদ পড়েছে একসঙ্গে বসে আড্ডা, পার্টি বা গেট টুগেদারেও।
এই অবস্থায় অঙ্কুশের বাড়িতে মোটাসোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল পাঠিয়েছে সিইএসসি। সাধারণত প্রতি মাসে গড়ে হাজার চারেক টাকা বিল হয় তাঁর বিদ্যুৎ খরচের, জানিয়েছেন অঙ্কুশ। কিন্তু তার জায়গা ২১ হাজারের উপরে বিল পাঠানোর কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
আরও পড়ুন : ওলিকে শিক্ষা দিতে নেপালি তরুণের মাথা ন্যাড়া করে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান
বিষয়টি নিয়ে সিইএসসিকে ট্যাগ করে অঙ্কুশ লেখেন, ‘‘৪ হাজার থেকে ২১ হাজার? বিশ্বাস করুন এই মহামারি পরিস্থিতিতে বাড়িতে কোনও ডিস্কো লাইট বা এইচএমআই লাগিয়ে ফূর্তি করিনি আমি। আমাদের সঙ্গে এমন করবেন না।’’
From 4000 to 21000?? @CESCLimited.. trust me in this pandemic situation i havnt put anyyy disco lights or HMI in my house to have fun.. Dont do this to us .. ? pic.twitter.com/kFfJQAI6el
— ANKUSH #Magic (@AnkushLoveUAll) July 17, 2020
অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত জানান, আগের মাসে বিদ্যুতের বিল বাবদ ৩ হাজার ২৮০ টাকা মিটিয়েছিলেন তিনি। এ মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৬০ টাকা। সিইএসসি-কে ট্যাগ করে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘এটা নিউ নর্মাল হতে পারে না। গত কয়েক বছর ধরে যা দিয়ে আসছি, সেই তুলনায় অদ্ভুত ভাবে ১৭ হাজার ৬৬০ টাকার বিল পাঠানো হয়েছে আমাকে। সিইএসসি-কে অনুরোধ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক।’’ বিলের একটি ছবিও টুইটারে পোস্ট করেন তিনি।
https://twitter.com/Yash_Dasgupta/status/1284047100465106946?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1284047100465106946%7Ctwgr%5E&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.anandabazar.com%2Fcalcutta%2Fankush-hazra-and-yash-dasgupta-received-huge-cesc-electric-bill-amount-of-last-month-dgtl-1.1177193
কেবল অঙ্কুশের নয় , ছাপোষা মানুষের বাড়িতে বিল আসছে অস্বাভাবিক। এমনিতেই সিএসসির বিল বেশি। তা নিয়ে তেমন কোনো প্রতিবাদ হয় না। সবটাই যেন নাগরিকদের গাসওয়া। কিন্তু এমন অবস্থা কতদিন চলবে। সরকারের উচিত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা। তা না হলে সিএসসির কারণে সরকারের বিরুদ্ধে বাড়বে জনরোষ। বিধানসভার আগে সরকারের উচিত ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া।
শুক্রবার সকালে সিইএসসি-র বিরুদ্ধে অঙ্কুশই প্রথম মুখ খোলেন। সিইএসসি-র পাঠানো বিলের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন তিনি। তাতে দেখা যায়, আগের মাসে বিদ্যুতের বিল বাবদ ৪ হাজার ১০ টাকা মিটিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চলতি মাসে সেই বিল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১৪০ টাকায়।
গোটা ঘটনায় এ বার সিইএসসি-র কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার সিইএসসি আধিকারিকদের নিজের দফতরে ডেকে পাঠান তিনি। তা নিয়ে ব্যাখ্যাও তলব করেন শোভন।
শুধু জবাবদিহি করেই থেমে থাকেননি তিনি। সিইএসসি-কে তাঁর নির্দেশ, শহরের সমস্ত বড় সংবাদপত্রে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে অস্বাভাবিক বিল পাঠানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। এবং সেই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, জনসাধারণ সেই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে ফের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হবে তাঁর দফতরে।
কলকাতার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বিদ্যুৎবন্টন সংস্থা সিইএসসি এর আগে যে টাকার বিদ্যুতের বিল পাঠাত, এ বার তার থেকে কয়েক গুণ বেশি পাঠিয়েছে। গ্রাহকদের দাবি, প্রায় একই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় চার-পাঁচ গুণ বেশি টাকার বিল এসেছে। তবে সিইএসসি-র পাল্টা দাবি, লকডাউনের কারণে তাদের কর্মীরা মিটার রিডিং নিতে বাড়ি বাড়ি যেতে পারেননি বলে বিল কম যেত। এ বার সঠিক রিডিংয়ের বিল পাঠানো হয়েছে বলে গ্রাহকদের তা বেশি মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন : তাঁদের যৌনতার আবেদনে সরগরম নেটপাড়া, করোনা যুদ্ধে অক্লান্ত এই দুই নার্স!